কুম্ভমেলা থেকে শিক্ষা নিক রাজ্য সরকার, তোপ দিলীপের


মুখ্যমন্ত্রী হাসপাতালে ঘুরলেন। ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন। মন্ত্রীকে পাঠালেন দুর্ঘটনাস্থলে। সরকারের এই ভূমিকায় বিস্মিত, ক্ষুব্ধ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে কচুয়ায় লোকনাথ মন্দিরে বৃহস্পতিবার রাতের ভিড় অপ্রত্যাশিত ছিলনা। প্রতি বছর এরকমই ভিড় হয় বলে দাবি করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, পায়ে হেঁটে বা গাড়ি নিয়ে লাখের উপর মানুষের কচুয়া, চাকলায় যাওয়ার চেনা ছবির সাক্ষী কলকাতা ও কলকাতা সংলগ্ন এলাকায় মানুষজন। অথচ পুলিশ প্রশাসন দেখতে পেল না? প্রশ্ন দিলীপ ঘোষের। গঙ্গাসাগর থেকে কচুয়া, সেই চেনা ছবি। বছরের পর বছর ধরে প্রতিবছরই সাগরে হয় গঙ্গাসাগর মেলা। মুখ্যমন্ত্রী পদে বসার পর থেকে প্রতি বছরই নেত্রী সফলভাবে গঙ্গাসাগর মেলার আয়োজনের কৃতিত্ব দাবি করেন। কিন্তু, ২০১৭ সালে গঙ্গাসাগর মেলায় একটা দুর্ঘটনা ঘটতেই তিনি দায় চাপিয়ে দিয়েছিলেন কেন্দ্রের ঘাড়ে। এবার কচুয়ায় লোকনাথ মন্দিরে জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠান-মেলা সামলাতে অপারগ প্রশাসন দায় চাপালেন মন্দির কর্তৃপক্ষের ঘাড়ে। পুজো-মেলা-উৎসবের সরকার বলে সুনাম আছে তৃণমূল পরিচালিত বর্তমান সরকারের। রাজ্যের কোথাও কোনও পুজো, মেলা, খেলা, উৎসব, অনুষ্ঠানে নিজেদের কর্তৃত্ব কায়েম করতে কোনও খামতি রাখেন না তৃণমূল নেতা-নেত্রীরা। এক্ষেত্রেও মন্দির করতৃপক্ষের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে আদতে কচুয়ার লোকনাথ মন্দির কমিটি দখলে আনতে চাইছে শাসকদল। এমনটাই দাবি করলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। তাঁর কথায়, সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে কমিটির ওপর দোষ চাপাচ্ছেন খাদ্যমন্ত্রী। কারণ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায় তাঁদের নয়, সেটা রাজ্য সরকারের।

Post a Comment

Thank You for your important feedback

أحدث أقدم