
করোনা আক্রান্তের নিরীখে চিনকেও টপকে গেল ভারত। শনিবার সকাল পর্যন্ত ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮৫ হাজার ৯৪0। শুধুমাত্র গত ২৪ ঘন্টায় ভারতে নতুন করে করোনা পজিটিভ হয়েছেন ৩,৯৭০ জন। মৃত্যু হয়েছে ১০৩ জনের। ফলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২,৭৫২। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হিসেবে ভারতে করোনায় মৃত্যুর হার চিনের থেকেও কম। চিনে যেখানে মৃত্যুর হার ছিল ৫.৫ শতাংশ, সেখানে ভারতে এই হার ৩.২ শতাংশ। আরেকটি ভালো খবরও দিচ্ছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক, এখনও পর্যন্ত করোনা ভাইরাস জয় করে সুস্থ হয়েছেন ৩০,১৫২ জন আক্রান্ত ব্যক্তি। শনিবার পর্যন্ত দেশে সুস্থতার হার হল ৩৫.০৮ শতাংশ।
২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে চিনের হুবেই প্রদেশে প্রথম হানা দিয়েছিল মারন ভাইরাস কোভিড-১৯। যার ভরকেন্দ্র ছিল উহান শহর। এরপর থেকে পরবর্তী পাঁচমাসে চিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ৮৩ হাজারের বেশি। গত ৮ এপ্রিল উহানে লকডাউন তুলে নেয় চিন প্রশাসন। এরমধ্যে করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসে চিন সরকার। সেক্ষেত্রে ভারতের কেরলে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি। ২৫ মার্চ থেকে দেশজোড়া লকডাউন ঘোষণা করেন প্রথানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরপর করোনা আক্রান্তের হার অনেকটাই নিয়ন্ত্রন করা গিয়েছিল। ৩০ জানুয়ারির পর প্রথম ৭৫ দিনে করোনায় সংক্রমিত হয়েছিলেন প্রায় ১০ হাজার মানুষ। কিন্তু এরপর থেকেই সংখ্যা প্রতি সপ্তাহে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে। প্রধানমন্ত্রী বারেবারে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন, অনেক রাজ্যই লকডাউন কড়া হাতে মান্যতা দিচ্ছে না। ফলে করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই হাতে বাইরে চলে যায় বলে অভিমত বিশেষজ্ঞদের। লকডাউন খানিকটা শিথিল হতেই দেশে গত ২৩ এপ্রিল আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২০ হাজার। ১২ মে-র মধ্যে সেই সংখ্যাটা পৌঁছয় ৭০ হাজারে। ১৬ মে-র মধ্যে সংখ্যাটা ছাড়িয়ে গেল ৮৫ হাজারে। ফলে করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় এখন ভারত চিনের উপরে চলে এল। জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী গোটা বিশ্বের নিরীখে ভারতের স্থান ১১তম।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback