
স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাটা প্রয়োজন। নিজের বাড়িতে সকলেই ফিরতে চান। সরকারও আন্তরিক। আবার ঘূর্ণিঝড়ে যেভাবে পরিকাঠামো বিঘ্নিত, যেভাবে স্বাস্থ্য, খাদ্য ও অন্যান্য ক্ষেত্রগুলিতে সমস্যা রয়েছে, সেখানে আবার এত জনের ফেরাটা নিয়ে অবশ্যই ভাবতে হচ্ছে সরকারকে’। আপাতত ভাবা হয়েছে, নিজের বাড়িতেই কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে পরিযায়ী শ্রমিকদের। যদি কারোর করোনা উপসর্গ বা লক্ষণ থাকে তবে তাঁকেই কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হবে। নবান্ন সূত্রের খবর, ২০৬টি শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন আসবে আগামী কয়েকদিনে। এরমধ্যে শুধু মহারাষ্ট্র থেকেই আবসে ৩০টি ট্রেন। যে সমস্ত রাজ্যগুলি থেকে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনগুলি আসবে সেখানে করোনা সংক্রমণের হার অনেকটাই বেশি। এই তথ্যই ভাবাচ্ছে নবান্নকে। এই প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রসচিব স্পষ্ট জানিয়েছেন, ‘সংক্রমণ প্রাদুর্ভাবগ্রস্ত রাজ্য থেকে অনেক মানুষ আসছেন। যে জায়গায় এরা যাবেন সেখানে মানুষের প্রতি রাজ্যের আবেদন, সামাজিক দূরত্বের বিধি কঠোর ভাবে মেনে চলতে হবে। ওই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অবশ্যই হোম কোয়ারেনন্টাইনে মেনে চলবেন, সেটা নজরও রাখতে হবে’। অপরদিকে হাওড়া জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগে যে শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনগুলি এসেছিল, তাতে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে ৭৬ জনের করোনা-পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে। এর মধ্যেই বুধবার বিভিন্ন রাজ্য থেকে একের পর এক শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনের এসে পৌঁছনোর কথা হাওড়ায়।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback