
শেষের মুখে লকডাউনের চতুর্থ দফা। এবার পঞ্চম দফা লকডাউনের পথে যেতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। ঘোষণা হতে পারে আজই। কিন্তু দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা যেভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে তাতে চিন্তিত চিকিৎসকমহল থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের কর্তারা। এই আহবেই শুক্রবার গোটা দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা রেকর্ড গড়ল। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আক্রান্ত হলেন ৭,৯৬৪ জন। মারা গিয়েছেন ২৬৫ জন, দুটোই রেকর্ড। শনিবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে করোনা আক্রান্ত ১,৭৩,৭৬৩ জন। এর মধ্যে অ্যাক্টিভ কেস ৮৬,৪২২।এখনও পর্যন্ত করোনায় মারা গিয়েছেন ৪,৯৭১ জন। তবে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৮২, ৩৬৯ জন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানাচ্ছে, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও সুস্থতার হার ৫০ শতাংশ। যা অনেকটাই ভালো খবর। বর্তমানে রাজ্যগুলির মাথাব্যাথার মূল কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরা। মূলত পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতেই পরিযায়ী শ্রমিকদের ঢল রয়েছে। ফলে আগামী দিনে বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, অসমের মতো রাজ্যগুলিতে করোনা সংক্রমণ বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী শুক্রবারই শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনগুলিকে ‘করোনা এক্সপ্রেস’ ট্রেন বলেই আখ্যা দিয়েছেন।

অপরদিকে করোনা সংক্রমণের শীর্ষে এখনও মহারাষ্ট্র। সংক্রমণ সামাল দিতে আক্ষরিক অর্থেই হিমশিম খাচ্ছে মহারাষ্ট্র সরকার। সংক্রমণ ও মৃত্যুতে বাকি রাজ্যগুলিকে অনেক আগেই পিছনে ফেলে দিয়েছিল মহারাষ্ট্র। সেটা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘন্টায় উদ্ধব ঠাকরের রাজ্যে করোনায় মৃত্যু হল ১১৬ জনের। যেটা একটা রেকর্ড। ভারতে করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার দিন থেকে আজ পর্যন্ত একদিনে এত মানুষের মৃত্যু হয়নি কোনও রাজ্যে। মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, শুক্রবার নতুন করে ২,৬৮২ জন করোনা পজিটিভ চিহ্নিত হয়েছেন। সবমিলিয়ে উদ্ধব ঠাকরের রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়িয়ে হল ৬২,২২৮ জন। মৃত্যু হয়েছে ২,০৯৮ জনের। অর্থাৎ গোটা দেশের মোট মৃতের প্রায় অর্ধেক এই মহারাষ্ট্রেই।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback