লকডাউনের চতুর্থ দফায় বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দিয়েছে কেন্দ্র। বিশেষ করে সরকারি ও বেসরকারি অফিস খোলার অনুমতি দিয়েছে সরকার। পাশাপাশি বহু দোকানপাটও খুলছে সরকারি বিধিনিষেধ মেনে। এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বড় সমস্যা অফিসে যাতায়াত। কারণ সরকারি বাস চালু হলেও বেসরকারি বাস রাস্তায় নামেনি। পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বাসে ২০ জনের বেশি যাত্রী নেওয়া যাবে না বলেও নির্দেশ রয়েছে। ফলে কলকাতায় কয়েকটি রুটে বাস চললেও অনেক যাত্রীই বাসে উঠতে পারছেন না। দুর্ভোগের মুখে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এবার এই সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। দুর্ভোগ কাটাতে এবার কলকাতা ও শহরতলির মধ্যে আরও ৪৯টি বাস রুট চালু করতে চায় রাজ্য। এই তালিকায় রয়েছে কলকাতা ও আশেপাশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রুট। নবান্ন চাইছে নদিয়া, হুগলি ও দুই ২৪ পরগনার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা ঠিকঠাক করতে। যাতে এই জেলার বাসিন্দারা নিয়মিত কর্মস্থলে যাতায়াত করতে পারেন। তাই দিনকয়েকের মধ্যেই বাসের সংখ্যা ও রুট বাড়ানোর উদ্যোগ নিল রাজ্য পরিবহণ নিগম। বর্তমানে সকাল সাতটা থেকে সন্ধে সাতটা পর্যন্ত বাস পরিষেবা দিচ্ছে এই সরকারি সংস্থা। আধঘন্টা অন্তর পাওয়া যাচ্ছে পরিষেবা। জানা গিয়েছে, এই সংযোজিত রুটগুলিতে আড়াইশোটি বাস নামানো হবে। তবে সবগুলিই নন-এসি বাস চালানো হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ২০ জন করেই যাত্রী তোলা হবে। খুব শীঘ্রই রুটগুলি ঘোষণা করবে রাজ্য পরিবহণ নিগম। সাধারণ মানুষের দাবি, রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকলেও বাসে ওঠা যাচ্ছে না। কারণ বাস ডিপো থেকেই ২০ জন যাত্রী উঠে পড়ছেন বাসে। ফলে মাঝপথে বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে কোনও লাভ হচ্ছে না। আবার অফিস টাইমে বাস ডিপোতেই একশোর ওপর যাত্রী অপেক্ষা করছেন লাইনে। ফলে সকলেই বাসে উঠতে পারছেন না সময়মতো। যাত্রীদের দাবি, শুধুমাত্র সরকারি বাস দিয়ে পরিষেবা পুরোপুরি সচল করা যাবেনা। কেউ কেউ দাবি করছেন, ২০ জনের বদলে ৩০ জন যাত্রী নেওয়ার অনুমতি দিলে কিছুটা সুরাহা হয়। উল্লেখ্য, একেকটি বাসে ৬০-৬৫ যাত্রী উঠতে পারেন। যদিও কলকাতার নির্দিষ্ট কয়েকটি এলাকায় অ্যাপ ক্যাব ও হলুদ ট্যাক্সি পরিষেবা চালুর অনুমতি দিয়েছে রাজ্য সরকার।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback