
রেলকর্মীরা যাতে কর্মস্থলে যেতে পারে তার জন্য শিয়ালদা ও হাওড়া শাখায় কয়েকটি স্টাফ স্পেশাল ট্রেন চালাচ্ছে রেল। কিন্তু লকডাউন শিথিল হতেই রাজ্যে সমস্ত অফিস-কাছারি খুলে যাওয়ায় ওই ট্রেনগুলি নিয়ে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে বলে মনে করছেন রেলকর্তারা। পূর্বরেলের সিনিয়র সিকিওরিটি কমিশনার রবিবার কলকাতা-সহ বিভিন্ন কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনারের কাছে এই চিঠি দিয়েছে। পাশাপাশি পূর্ব রেলের চিঠি পৌঁছেছে রেল পুলিশ, আরপিএফ ও রাজ্য পুলিশের ডিজির কাছেও।

চিঠিতে বলা হয়েছে রাজ্যে অফিস, শপিং মল সহ সমস্ত হোটেল রেস্তরাঁ ও পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে। তাই লোকাল ট্রেন চালু করার দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে পারেন নিত্যযাত্রীরা। সেক্ষেত্রে চাপ বাড়তে পারে রেলের ওপর। ট্রেন পরিষেবা বন্ধ থাকলেও রেলকর্মী, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য রোজ প্রতিটি শাখায় কয়েকটি করে স্পেশাল ট্রেন চালাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। সেই ট্রেনে এবার সাধারণ যাত্রীরা উঠে পড়তে পারেন বলেও আশঙ্কা করছেন রেলের কর্তাদের। কিন্তু রেলের দাবি, ওই স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে কোনওভাবেই সাধারণ যাত্রীরা উঠতে পারবেন না। কিন্তু সেই আশঙ্কা থেকেই বাড়তি নিরাপত্তার জন্য রাজ্যের দ্বারস্থ হলেন পূর্ব রেলের কর্তারা। ওই চিঠিতে স্পেশাল ট্রেনগুলি নিয়ে আইনশৃঙ্খলার সমস্যা তৈরি হলে স্থানীয় পুলিশের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তাঁরা। রাজ্যের সর্বত্র অফিস-কাছারি খুলে গেলেও চলছে না লোকাল ট্রেন। তবে রেলের বক্তব্য, আগামী ৩০ জুনের মধ্যে কোথাও লোকাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত হয়নি। উল্টে তাঁদের দাবি, ৩০ জুনের আগে লোকাল ট্রেন চালানো সম্ভব নয়। কারণ লোকাল ট্রেনে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার কোনও পরিকাঠামো নেই রেলের। তাই লোকাল ট্রেন চালু হলেই সাধারণ মানুষ কারণে অকারণে সেটাতে চেপে বসবেন। ফলে আরও দ্রুততার সঙ্গে বাড়বে করোনা সংক্রমণ।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback