অবশেষে জামিন পেলেন বলবিন্দর সিং। তাঁকে বিজেপি যুব মোর্চার নবান্ন অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফেতার করেছিল পুলিশ। গত ৮ অক্টোবর হাওড়ার মল্লিকফটক থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে। তবে তাঁকে গ্রেফতারের সময় তাঁর পাগড়িটি খুলে যায়। যা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। যদিও পরে জানা যায়, এক বিজেপি যুব নেতার দেহরক্ষী হিসেবেই ওই মিছিলে ছিলেন প্রাক্তন সেনা আধিকারিক বলবিন্দার। তাঁর রিভলভারটির লাইসেন্সও ছিল। যদিও পুলিশের দাবি, সেই লাইসেন্স জম্মু-কাশ্মীর থেকে করা হয়েছে। এই নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হয়। রাজ্যের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিষয়টি জাতীয় স্তরেও পৌঁছে যায়। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুরোধ করেন বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করতে। দিল্লি ও পাঞ্জাব থেকে শিখ ধর্মাবলম্বীদের প্রতিনিধি দল কলকাতায় আসে। তাঁরা দেখা করেন রাজ্যপালের সঙ্গেও। নবান্নেও গিয়ে তাঁরা বলবিন্দরের মুক্তির আবেদন করেন। ধৃতের স্ত্রী-পুত্রও ছুটে আসেন কলকাতায়। তিনিও কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। এরপরই পরিস্থিতির বদল হয়। সোমবার ধৃত বলবিন্দরকে ফের হাওড়া সিজিএম আদালতে তোলা হয়। বিচারক বলবিন্দরের জামিন মঞ্জুর করেন। তবে বাকি দুজনকে ফের দুদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। অপর দুই ধৃতের নাম প্রিয়াংশু পান্ডে ও আনন্দ সোনকার।

إرسال تعليق
Thank You for your important feedback