বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা ভোট। তার আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেলা সফর ঘিরে রাজনৈতিক কৌতুহল থাকবে সেটা বলাই বাহুল্য। রবিবার রাতেই তিনি পৌঁছে গিয়েছেন বাঁকুড়ায়। এবার চারদিনের সফর। তাঁর একই জেলায় এতদিনের সফর এই প্রথম।
সোমবার বাঁকুড়ার খাতড়ার সিধো-কানহো স্টেডিয়ামে প্রশাসনিক সভা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকেই বড়সড় কয়েকটি ঘোষণা করলেন তিনি। জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের নির্দেশ দিলেন সরকারি প্রকল্পের কাজ যত দ্রুত সম্ভব শেষ করতে হবে। আদিবাসী সমাজের দাবি মেনে বিরসা মুণ্ডার জন্মদিনে সরকারি ছুটিও ঘোষণা করলেন।
সরকারের সমস্ত জনকল্যাণ মূলক সরকারি প্রকল্পের কাজ শেষ করার সময়সীমাও বেধে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে তিনি ‘দুয়ারে দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পের সূচনাও করলেন। তিনি প্রশাসনিক কর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন, সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগ মেটাতে প্রতি জেলায় এলাকাভিত্তিক ক্যাম্প করার। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারি প্রকল্পের সুবিধা থেকে কেউ বঞ্চিত থাকলে এবার তার কাছে পৌঁছবেন সরকারি আধিকারিকরা।
এই প্রকল্পের নাম ‘দুয়ারে দুয়ারে বাংলার সরকার’। এরপরই তিনি মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলেন, আপনারা প্রস্তুতি নিন, রাজ্যের প্রতিটি ব্লকেই ক্যাম্প করুন। ভোটার লিস্টের কাজ যেমন চলবে এরসঙ্গেই এই প্রকল্পের কাজ যাতে চলে। ১ ডিসেম্বর থেকে প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে বেলা ৩টে পর্যন্ত সরকারি কর্মীদের ক্যাম্পে থাকার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন সভা শুরুর সময়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাঁকুড়া সফরকে তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করেন তিনি। উল্লেখ্য, মাত্র ২০ দিন আগেই দলীয় সভায় যোগ দিতে বাঁকুড়া ঘুরে গিয়েছেন অমিত শাহ। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘এর আগে আমি একটা তফসিলি গ্রামে গিয়েছিলাম, সবার সঙ্গে কথা হয়। ওখানে অনেক সময় কাটাই। এটা নয় যে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের মতো ফাইভস্টার হোটেলে রান্না করা বাসমতি চালের খাবার ওখানে নিয়ে গিয়েছি।
আর ওই বাড়িতে টাকা দিয়ে রং করে, স্যানিটাইজ করে বসে লোক দেখানো হয়েছে। আমাদের মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এখানে লোক দেখানোর জন্য এসেছিলেন। বাইরে থেকে খাবার রান্না করে আনা হয়েছিল। মানুষ সব বুঝে গিয়েছে’। এরপরই বীরসা মুণ্ডার মূর্তিতে অমিত শাহর মাল্যদান বিতর্ক নিয়ে কটাক্ষ করে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন আগামীদিনে বীরসা মুণ্ডার জন্মদিনে রাজ্যে ছুটি থাকবে।
এদিনের প্রশাসনিক সভায় তাঁর ভাষণে সিংহভাগই ছিল রাজ্যের উন্নয়নের ফিরিস্তি। তিনি এদিন বলেন, দেশে করোনা পরিস্থিতিতে ৪০ % বেকারি বেড়েছে। কিন্তু বাংলায় ৪০% শতাংশ বেকারি কমেছে। একমাত্র বাংলায় কোন সরকারি কর্মীর মাইনে বন্ধ হয়নি। বাঁকুড়া জেলায় ৩২ হাজার পরিযায়ী শ্রমিক কাজ পেয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, একমাত্র বাংলাতেই পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজ দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। জঙ্গলমহলের ১০ হাজার বেকার যুবক-যুবতী জুনিয়র কনস্টেবলের চাকরি পেয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এরপরই বিরোধীদের ঠুকে মুখ্যমন্ত্রীর কটাক্ষ, ‘একমাত্র মামলা -হামলা করা ছাড়া সিপিএম-বিজেপির কোনও কাজ নেই’।
R ki dorkar. Vote bole ekhon khub kaj dekha jache. R kono kar chupi na hole apni R jitchen na
ردحذفR ki dorkar. Vote bole ekhon khub kaj dekha jache. R kono kar chupi na hole apni R jitchen na
ردحذفإرسال تعليق
Thank You for your important feedback