রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে ততই জল্পনা বাড়ছে পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর ভবিষ্যৎ রণনীতি নিয়ে। তিনি কি তৃণমূল ছাড়ছেন? নাকি আগামী দিনে অন্য কোনও দলে যোগ দেবেন কিনা সেটা নিয়েও জল্পনা কল্পনা চলছে। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা দ্রুত ব্যবস্থা নিতে চাইছে। কারণ ভোটের আগে দলের গোষ্ঠীকোন্দল ও ফাটল ঢাকতে মরিয়া তৃণমূল নেত্রী। বিগত কয়েকদিন ধরেই বেসুরো গাইছেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী তথা শাসকদলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক শুভেন্দু অধিকারী। দলীয় পতাকা ছাড়াই তিনি সভা করে নাম না করে দলের শীর্ষনেতাদের বিরুদ্ধে তোপ দাগছিলেন। রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হলেও তা স্পষ্ট করা হয়নি।
ফলে চাপের মুখে শুভেন্দুর মানভঞ্জনে উদ্যোগী হয় তৃণমূলের শীর্ষনেতারা। প্রথমে প্রশান্ত কিশোর তাঁর বাড়ি যান। কিন্তু দেখা না পেয়ে ফিরে আসেন। পরে দলের দুই বর্ষীয়ান সাংসদকে দায়িত্ব দেওয়া হয় শুভেন্দুর সঙ্গে কথা বলে মান ভাঙাতে। সেই মতো সৌগত রায় এবং সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দুর সঙ্গে বৈঠক করেন। সুর কিছুটা নরম হয় দুই পক্ষের। সূত্রের খবর, সোমবার ফের শুভেন্দুর সঙ্গে বৈঠকে বসছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তৃণমূল ভবনেই হতে পারে এই বৈঠক।
এই প্রসঙ্গে সৌগত রায় বলেন, ‘শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে কথা বলার জন্য দল আমায় বলেছে। আমি চেষ্টা করছি ওর সঙ্গে কথা বলতে। ওর কিছু দাবি আছে। সেই নিয়ে আজ আলোচনা হয়েছে। আজ বিকালে বৈঠক হবে শুভেন্দুর সঙ্গে’। উল্লেখ্য, এর আগেও একবার দুই পক্ষের বৈঠক হয়েছে। জানা যাচ্ছে, ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রশান্ত কিশোরও। এবার দেখার সোমবারের বৈঠকের পর বরফ গলে কিনা।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback