‘দু’জায়গায় দাঁড়ালে চলবে না। আপনাকে নন্দীগ্রামেই দাঁড়াতে হবে’। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মঙ্গলবার নন্দীগ্রামের মটি থেকেই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি নন্দীগ্রামের বিধায়ক, সম্প্রতি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি যোগ দিয়েছেন। সোমবার তাঁর খাসতালুক নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়েই তৃণমূল নেত্রী জানিয়েছিলেন তিনি এখান থেকেই ভোটে লড়তে চান।
২৪ ঘন্টার মধ্যেই নন্দীগ্রামের খেজুরিতে পাল্টা সভা করলেন শুভেন্দু। আর সভায় নিজের ভাষণের প্রথমেই খোলা চ্যালেঞ্জ দিলেন তৃণমূল নেত্রীকে। তিনি বললেন, দু জায়গায় না দাঁড়িয়ে নন্দীগ্রামেই ভোটে দাঁড়িয়ে দেখুন। পারলে এখন থেকেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর লেটার হেড ছাপিয়ে রাখুন। প্রাক্তন দলনেত্রীকে এদিন তীব্র আক্রমণ করে বলেন ভোট এলেই নন্দীগ্রামের কথা মনে পড়ে। শুভেন্দুর কথায়, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনৈতিকভাবে হতাশ হয়ে পড়েছেন। কোথায় সভা করছেন, সেটাও বলতে পারছেন না। নন্দীগ্রামের শহিদদের নামও কাগজ দেখে পড়তে হচ্ছে। উনি আসলে নন্দীগ্রামকে ভুলে গিয়েছেন। ভোটের জন্য পাঁচ বছর পর পর আসেন’। এরপরই তিনি নন্দীগ্রাম আন্দোলনের ইতিহাস গড় গড় করে বলে যান। এমনকি সেসময় কবে কোথায় কী কী ঘটনা ঘটেছিল সেটাও প্রায় মুখস্থ বলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। এরপরই তাঁর কটাক্ষ, পাঠ্যপুস্তকে সিঙ্গুর স্থান পেলেও নন্দীগ্রাম পায়নি, নন্দীগ্রামের আন্দোলনকে মান্যতাই দেন না তৃণমূলনেত্রী। এদিন তাঁর সভায় আসার সময় খেজুরিতে আক্রান্ত হয় বিজেপির বাইক র্যালি। বিজেপির মিছিল লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি হয় এমনকি বোমাবাজিরও অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, খেজুরির সভার আগে ৫ বার হামলা হয়েছে। পুলিশ মাননীয়ার নিরাপত্তা দিতে ব্যস্ত ছিল। এদিন খেজুরির সভায় শুভেন্দুর পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারীর সভায় হাজির ছিলেন শহিদ পরিবারের সদস্যরাও।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback