একুশের ভোটে মাস্টারস্ট্রোক হিসেবে নন্দীগ্রাম থেকে ভোটে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বামশাসন হটিয়ে তাঁর ক্ষমতার মসনদে বসার জমি শক্ত করেছিল এই নন্দীগ্রাম আন্দোলনই। এবার ক্ষমতা টিঁকিয়ে রাখতে মরিয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই নন্দীগ্রামেই ভরসা রাখতে চাইছেন। তবুও কাঁটা হয়ে বিঁধছেন শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামের ভূমিপুত্র দল বদলে এখন বিজেপিতে। তিনিও হুঙ্কার দিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানেই দাঁড়াবেন হাফ লাখ ভোটে হারাবেন। তাই এবার আসরে নামল তৃণমূল কংগ্রেস। দলনেত্রীর জন্য জমি তৈরি করতে রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে তিনদিনের জন্য নন্দীগ্রামে পাঠাচ্ছে দল। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনদিন তিনি নন্দীগ্রামে থাকবেন, ঘুরবেন, কথা বলবেন ব্লক ও বুথ স্তরের সমস্ত নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে। সরজমিনে ঘুরে দেখবেন সংগঠন এখন কী অবস্থায় দাঁড়িয়ে রয়েছে।
এরপর কলকাতায় ফিরে তিনি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দেবেন দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে। বুধবার তৃণমূল ভবনে এক সাংবাদিক বৈঠকে সুব্রত মুখোপাধ্যায় নিজেই এই খবর জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘দলের হয়ে পরিস্থিতি তদারকি করতে যাচ্ছি। ৩ দিন থাকব, প্রত্যেকটা ব্লকে যাব। আমাদের কর্মীদের সঙ্গে দেখা করব। কর্মীদের কলকাতায় ডেকে নয়, দেখা করব ওদের ওখানে গিয়েই। সব সারতে ৩ দিন এমনিই কেটে যাবে’। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন তৃণমূলের কাছে মরণবাঁচন লড়াই। ফলে এক ইঞ্চি ঢিলেমি দিতে নারাজ শাসকদল। আর দলের পুরোনো সৈনিক সুব্রত মুখোপাধ্যায়কেই তাই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নন্দীগ্রামের জমি জরিপ করার জন্য। উল্লেখ্য, তৃণমূল নেত্রীর ঘোষণার পরই নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর নামে দেওয়াল লিখনও শুরু করে দিয়েছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা-কর্মীরা।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback