দীর্ঘক্ষণ অ্যাম্বুলেন্সের ভিতর ছিলেন পঞ্চাশোর্ধ ওই
রোগী। কিন্তু মিলল না কোনও পরিষেবা, এলেন না কোনও চিকিৎসকও। হাসপাতালের
অন্য বিভাগ থেকে জরুরি ভিত্তিতে রেফার করার পরেও দেওয়া মিলল না সিসিইউ
সাপোর্ট। কার্যত বিনা চিকিৎসায় রবিবার কোভিড ইউনিটের সামনেই মৃত্যু হল ওই
সঙ্কটজনক রোগীর। ঘটনাস্থল এনআরএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ফের চিকিৎসার
গাফিলতিতে করোনা রোগী মৃত্যুর অভিযোগ উঠল ওই সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে।
পরিবারের অভিযোগ, বারবার আবেদন করলেও কেউ গুরুত্বই দেয়নি রিসেপশনে থাকা
কর্মীরা। উলটে অভিযোগ, চিৎকার করতে বারণ করে তাঁদের বাইরে পাঠিয়ে দেন
কর্তব্যরত নিরাপত্তা কর্মীরা। তবে এবিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ হাসপাতাল
কর্তৃপক্ষ।
পরিবার সূত্রে খবর, কলকাতার এন আর এস মেডিকেল কলেজ ও
হাসপাতালে দীর্ঘ চারমাস ধরে ভর্তি ছিলেন কল্যানীর বাসিন্দা বছর ৫৬-এর
নিরঞ্জন চক্রবর্তী। তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। একাধিকবার তাঁর
অস্ত্রোপচারও হয় এন আর এস হাসপাতালেই। কয়েকদিন আগে তাঁর শারীরিক অবনতি
হওয়ায় তাঁকে সিসিইউ সাপোর্ট দেওয়ার জন্য রেফার করা হয়। গতকাল তাঁর করোনা
রিপোর্ট পজিটিভ আসায় তাঁকে ওই হাসপাতালেই কোভিড ইউনিটে পাঠানোর নির্দেশ
দেওয়া হয়। কিন্তু মৃতের ছেলে রাকেশ চক্রবর্তীর অভিযোগ, এদিন সকালবেলা তাঁর
বাবাকে ক্যান্সার ওয়ার্ড থেকে আনার সময় নূন্যতম সহযোগিতা পাননি হাসপাতাল
কর্মীদের থেকে। একজন সঙ্কটজনক রোগীকে আনার জন্য কোনও স্ট্রেচারও ছিল না।
ভাঙা হুইল চেয়ারে কোনওক্রমে কোভিড ইউনিটে আনলেও রীতিমত হেনস্থার শিকার হতে
হয় তাঁদের। বারবার ডাকার পরেও কোনও চিকিৎসুক আসেননি। এমনকি সিসিইউ সাপোর্টও
দেওয়া হয়নি রোগীকে।
টানা প্রায় ৩০ থেকে ৪০ মিনিট কার্যত সিসিইউ সাপোর্ট
ছাড়াই ওই সঙ্কটাপন্ন রোগী পড়ে থাকলেন ওয়ার্ডের বাইরেই। অবশেষে বিনা
চিকিৎসাতেই মৃত্যু হয় নিরঞ্জন চক্রবর্তীর। এমনটাই দাবি তাঁর পরিবারেরয়
যাদের গাফিলতিতে এই ঘটনা তাদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন পরিবাবের সদস্যরা।
ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ, সূত্রের খবর, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির
অভিযোগ জানাবেন মৃতের পরিবার।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback