কৃষকদের আন্দোলন ঘিরে উত্তপ্ত দিল্লি সীমান্ত। প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন ট্র্যাক্টর র্যালি ঘিরে কার্যত রণক্ষেত্রের পরিবেশ তৈরি হয় রাজধানী দিল্লিতে। তবে লালকেল্লায় বিক্ষোভের জেরে সাময়িক কোনঠাসা হয়েছিল কৃষকদের আন্দোলন। কিন্তু শনিবার থেকেই ফের জোরাল হচ্ছে বিক্ষোভ-আন্দোলন। সিংঘু, টিকরি, গাজিপুর সীমানায় ক্রমশ বাড়ছে প্রতিবাদী কৃষকদের জমায়েত। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কৃষি আইন নিয়ে আলোচনার জন্য কৃষকদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়েছেন। এরপরই কৃষকরা জানিয়েছেন তাঁরাও কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে ফের আলোচনায় রাজি। তবে আলোচনায় যেতে প্রস্তুত হলেও নিজেদের দাবিতেই অনড়ই থাকছে কৃষক সংগঠনগুলি। তাঁদের মূল দাবি, তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার করতেই হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে।
উল্লেখ্য, মুজফফরনগরে কিষাণদের মহাপঞ্চায়েত থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, শনিবার থেকেই তাঁরা গাজিপুর সীমান্তের দিকে রওনা দেবেন। পাঞ্জাবের ভাতিন্দার ভির্ক খুর্দ পঞ্চায়েতের তরফে জানানো হয়েছে, প্রতি পরিবারের একজন কৃষক আন্দোলনে যোগ দেবেন। এমনকি কেউ না গেলে দেড় হাজার টাকার জরিমানা ও সামাজিক বয়কট করার হুমকিও দেওয়া হয়েছে। শনিবারই আন্দোলনরত কৃষকরা গান্ধীজীর মৃত্যুদিন ‘সদ্ভাবনা দিবস’ পালন করেন। সারাদিন অনশন করেন তাঁরা। কৃষকরা জানিয়েছেন, আগামী ২ ফেব্রুয়ারি রেকর্ড সংখ্যক জমায়েত হবে। তবে এবার অহিংসার পথে চলেই বিক্ষোভ করবেন তাঁরা। বিভিন্ন কৃষক সংগঠনগুলির তরফে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে আইন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত দিল্লি ঘেরাও চলবেই।এদিকে যেকোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তিনটি বিক্ষোভস্থল ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। রবিবার রাত ১১টা পর্যন্ত পরিষেবা বন্ধ থাকবে।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback