মঙ্গলবার দিল্লির রাজপথে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ। তবে করোনার জন্য এবার ছবিটা অন্যরকম। বদল হচ্ছে অনেকটাই। প্যারেডের পথ হচ্ছে সংক্ষিপ্ত। কুচকাওয়াজে যাঁরা হাঁটবেন তাঁদের সংখ্যাও কমানো হচ্ছে। ১৪৪ জনের থেকে প্রতি দলে এবার থাকছে ৯৬ জন। সবারই মুখে থাকবে মাস্ক। কমানো হয়েছে দর্শকদের সংখ্যাও। এবার মাত্র ২৫ হাজার দর্শককে ঢুকতে দেওয়া হবে। ১৫ বছরের নীচে কারও প্রবেশাধিকার নেই। অন্যবার অন্তত একলাখ লোক জড়ো হয়ে প্যারেড দেখতেন। সাধারণ নাগরিকদের জন্য মাত্রই সাড়ে ৪ হাজার টিকিট দেওয়া হয়েছে। তাদের আসনও থাকছে শারীরিক দূরত্ব মেনেই।
রাষ্ট্রপতি ভবনের সামনে বিজয় চক থেকে আগে কুচকাওয়াজ যেত রেড ফোর্টের সামনে। পথ ছিল প্রায় ৮.২ কিলোমিটার। এবার তা শেষ হবে ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে। দূরত্ব প্রায় ৩.৩ কিলোমিটার। ৩২টি ট্যাবলো থাকছে এবার, এবারই প্রথম লাদাখের ট্যাবলো থাকবে কুচকাওয়াজে। ২ হাজারের বেশি সেনা জওয়ান দিল্লিতে এসে গিয়েছেন। তাদের রাখা হয়েছে জৈব সুরক্ষা বলয়ে বিচ্ছিন্ন করে। এবারই থাকছে বাংলাদেশের ১২ জনের একটি দল। এনিয়ে তৃতীয়বার কুচকাওয়াজে কোনও বিদেশি সেনা অংশ নিচ্ছে।
পাঁচদশকে এই প্রথম কোনও বিদেশি অতিথি এবার কুচকাওয়াজে নেই। শেষ মুহূর্তে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী রবিস জনসন সফর বাতিল করা মঞ্চে থাকবেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এর আগে ২০২০ সালে কুচকাওয়াজ হয়েছিল নাগরিকত্ব বিল নিয়ে প্রতিবাদের ছায়ায়। এবার হচ্ছে কৃষি আইনের প্রতিবাদে কৃষকদের ট্র্যাক্টর মিছিলের প্রেক্ষিতে। অবসরপ্রাপ্ত সেনা অফিসার, মহিলারা এবার থাকছেন না। থাকবে না হাতির পিঠে সাহসিকতার জন্য পুরস্কার পাওয়া শিশুরাও। মোটরসাইকেলের স্টান্টও থাকবে না।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback