বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন কয়েক সপ্তাহ হল। এরপর একের পর এক সভা থেকে পুরোনো দল তৃণমূলকে এবং দলের দুই শীর্ষ নেতৃত্বকে তীব্র আক্রমণ করে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবারও তিনি পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে জনসভা করলেন। এই মঞ্চ থেকেও তিনি শাসকদল এবং দলনেত্রীকে আক্রমণ শানালেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিস্কপ্রসুত স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়েও তিনি কটাক্ষ করলেন কেশপুরের সভা থেকে। শুভেন্দুর অভিযোগ, ‘স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তো আসলে তৃণমূলের ভোট কার্ড’। তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে অনেক ক্ষেত্রে বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিংহোমে চিকিৎসা করাতে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন সাধারণ মানুষ।
কেশপুরের সভা থেকে তিনি বলেন, যে আশা নিয়ে পরিবর্তন এনেছিলেন, তা কি পূর্ণ হয়েছে? কেশপুরে মুখ্যমন্ত্রীকে দেখেছেন? এসেছেন উনি? বিগত দশ বছরেও কেশপুরের মাটিতে পা রাখেননি মুখ্যমন্ত্রী। একমাত্র ভোট এলেই তাঁর মনে পড়ে কেশপুরের কথা। এমনকী তৃণমূল নেত্রীকে পরিযায়ী পাখি বলেও কটাক্ষ করেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন নিজের দল ছাড়ার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন, শুভেন্দু। তিনি বলেন, ২১ বছর পর কেন দল ছাড়লাম সেই প্রশ্ন করছেন অনেকে। আমি বলতে চাই কর্মচারী হয়ে থাকতে পারব না, সহকর্মী হয়ে থাকতে পারি। এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রসঙ্গও তুলে আনেন। বলেন, ‘বাম আমলেও এসএসসি হত, ২০১৪ সালের পর থেকে তা বন্ধ। বাম আমলেও অনেক উন্নয়ন হয়েছে, বুদ্ধবাবু সৎ ছিলেন কিন্তু লক্ষ্মণ শেঠরা হার্মাদ ছিলেন। এরপরই তিনি কাটমানি প্রসঙ্গ তুলে শাসকদলকে বিঁধেছেন। শুভেন্দু বলেন, ‘কলেজের ছাত্র সংসদে ৪ বছর ভোট হয়নি। স্কুলের ছোলাতেও কাটমানি খাচ্ছে। পড়ুয়াদের দেওয়া জুতো, স্কুলড্রেসেও কমিশন খাচ্ছে।’ মেদিনীপুরে কে তৃণমূলকে জিতিয়েছিল আর কে হারাবে এবার প্রমাণ হয়ে যাবে’।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback