করোনার লকডাউনে সাধারণ মানুষ যতই সর্বস্বান্ত হোন না কেন, ফুলেফেঁপে উঠেছেন ভারতের ধনবানরা। সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামে পেশ করা তাদের রিপোর্টে এই তথ্য জানিয়েছে অক্সফ্যাম। তাদের বক্তব্। ধনী আর হতদরিদ্রের মধ্যে আয়ের বৈষম্য বেড়ে গিয়েছে। তাদের রিপোর্টের নাম দ্য ইনইকুয়ালিটি ভাইরাস, বৈষম্যের ভাইরাস।
রিপোর্ট জানাচ্ছে, ধনীদের সম্পদ বেড়েছে ৩৫ শতাংশ। রোজগার কমা বা বন্ধ হওয়ায় মাথায় হাত ৮৪ শতাংশের। এপ্রিলে মাসে প্রতি ঘণ্টায় চাকরি হারিয়েছেন ১ লাখ ৭০ হাজার মানুষ। ধনীদের যে পরিমাণ আয় বেড়েছে, তাতে দরিদ্রতম ১৩ কোটি ৮০ লাখ মানুষের প্রত্যেকের হাতে ৯৪,০৪৫ টাকা তুলে দেওয়া যেত। তাদের হিসেব বলছে, অতিমারীর সময় এক ঘণ্টায় মুকেশ আম্বানি যা রোজগার করেছেন, একজন অদক্ষ শ্রমিকের তা আয় করতে হলে লেগে যাবে ১০ হাজার বছর। এক সেকেন্ডে আম্বানির রোজগারের সমান আয় করতে লেগে যাবে তিনবছর। আগস্টেই আম্বানি বিশ্বের চতুর্থ ধনীতম ব্যক্তি হিসেব ঘোষিত হয়েছিলেন। অতিমারীর সময় আম্বানির আয় দিয়ে ৪০ কোটি অদক্ষ শ্রমিককে পাঁচমাস দারিদ্রসীমার উপরে নিয়ে যেতে পারত। লকডাউনের সময় গৌতম আদানি, কুমারমঙ্গলম বিড়লা, আজিম প্রেমজি, উদয় কোটাক, সুনীল মিত্তল, সাইরাস পুনেওয়ালা, শিব নাদারদের সম্পদ বেড়েছে বিপুল পরিমাণে।
কোনও আগাম সতর্কতা ছাড়াই লকডাউন ঘোষণার পরে কয়েকমাস ধরেই পরিযায়ী শ্রমিকরা রোজগার, আশ্রয়, খাদ্য থেকে বঞ্চিত ছিলেন। হেঁটে ঘরে ফেরার সময় মৃত্যুও হয়েছে অনেকের। অক্সেফ্যামের রিপোর্ট বলছে, ২০ লাখ কোটির কেন্দ্রীয় আর্থিক সাহায্যের অভিঘাত হয়েছে জিডিপির মাত্রই ১ শতাংশ। দেশের ১১ জন ধনীর আয়ে ১০ বছর জাতীয় গ্রামীণ কর্মনিশ্চিত প্রকল্পের কাজ চালানো যেত।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback