২১-এর ভোটে জিতে কি হ্যাটট্রিক করতে পারবে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস? ইতিমধ্যেই বঙ্গে ভোটের বাজার গরম হয়ে উঠেছে। প্রবল শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হয়ে উঠে আসা বিজেপিকে ঠেকাতে তাই মরিয়া তৃণমূল নেত্রী। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে রণকৌশল ঠিক করতে আগামী ২৯ জানুয়ারি জরুরি বৈঠক ডাকলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কালীঘাটে তৃণমূলনেত্রীর বাসভবন সংলগ্ন কার্যালয়ে হবে বৈঠক। উপস্থিত থাকবেন সয়ং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের সমস্ত সংসদ বিধায়কদের ওই বৈঠকে ডাকা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্র ধরে ধরে ২৯ জানুয়ারির বৈঠকে পর্যালোচনা করবেন তৃণমূল নেত্রী। সেইমতো ঠিক হবে রণকৌশল। এমনকী কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তও নিতে পারেন তিনি।
একুশের ভোটের আগে দলীয় স্তরে নেতা-নেত্রীদের বিদ্রোহ ও দল ছাড়ায় এমনিতেই কিছুটা চাপে শাসকদল। ইতিমধ্যেই শুভেন্দু অধিকারী সহ বেশ কয়েকজন দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এরপর দলের অস্বস্তি বাড়িয়ে বেসুরো গাইছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বৈশালি ডালমিয়া, প্রবীর ঘোষালের মতো বিধায়ক-মন্ত্রীরা। আবার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় তো আগেই ঘোষণা করে দিয়েছেন ডোমজুড়েই ভোটে দাঁড়াবেন। ফলে তিনি আদৌ তৃণমূলে থাকবেন কিনা সেই নিয়ে জল্পনা আরও বাড়ল। আবার দলবিরোধী কাজে বহিষ্কার করা হয়েছে বালির বিধায়ক বৈশালি ডালমিয়াকে। শো-কজ করা হয়েছে উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষালকে। বেসুরো জয়নগরের সাংসদ প্রতিমা মণ্ডলও। এই পরিস্থিতিতে ভোটের আগে নতুন করে রণকৌশল সাজাতে হচ্ছে শাসকদলকে। এরমধ্যেই তৃণমূল নেত্রী কড়া বার্তা দিয়েছেন দলত্যাগী ও বিদ্রোহীদের। অপরদিকে ৩০ জানুয়ারি রাজ্য সফরে আসবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির শীর্ষ নেতা অমিত শাহ। ফলে আগামী ২৯ জানুয়ারি কালীঘাটে জরুরি বৈঠকে আরও বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তিনি।
ফাইল ছবি…
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback