কৃষকদের ট্র্যাক্টর মিছিলে ব্যাপক হিংসার পর আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়াল দুটি সংগঠন। অল ইন্ডিয়া কিষাণ সংঘর্ষ কোঅর্ডিনেশন কমিটি জানিয়েছে, অন্য লোকেরা অন্যরকম দিকে চালাতে চাইছে এমন আন্দোলন তারা নেই। তাই এখনই তারা সরে আসছেন। এখানে কৃষকদের শহিদ হতে তারা আসেনি। ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের দাবিতে তাদের বিক্ষোভ চলবে। রাকেশ টিকাইতের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে তারা বলেছে, তাদের সঙ্গে আর কোনও সম্পর্ক থাকবে না। কমিটির নেতা ভি এম সিং জানিয়েছেন, অন্যের নির্দেশে তাঁরা চলবেন না।
এছাড়া, চিল্লা সীমান্তে অবস্থানরত ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন (ভানু) জানিয়েছে, তারাও সরে আসছে আন্দোলন থেকে। মঙ্গলবারের ঘটনায় তারা দারুণ ব্যথিত। ইউনিয়নের নেতা ঠাকুর ভানুপ্রতাপ সিং জানিয়েছেন, তাঁরা ৫৮ দিনের অবস্থান শেষ করছেন। জানা গিয়েছে, দিল্লি পুলিশ কৃষক নেতা দর্শন পাল, রাজিন্দর সিং, বলবীর সিং, বুটা সিং বুর্জগিল এবং যোগেন্দ্র সিং উগ্রহের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে। পুলিশের নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগ তাঁদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ আনা হয়েছে রাকেশ টিকায়েতের বিরুদ্ধেও।
প্রজাতন্ত্র দিবসের ঘটনা থেকে অবস্থানরত কৃষক সংগঠনগুলি নিজেদের সরিয়ে নিয়েছে আগেই। তাদের বক্তব্য, পুলিশই সেদিনের বিভ্রান্তির জন্য দায়ী। অন্যদিকে, সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা এদিন নিজেদের মধ্যে বৈঠক করেছে। তারা বলেছে, সংগ্রামী কৃষকদের প্রজাতন্ত্র দিবসের মিছিলে সরকার কেঁপে গিয়েছে। কেন্দ্র কিষাণ মজদুর সংগ্রাম কমিটির সঙ্গে নোংরা ষড়যন্ত্র করেছিল। তারা শান্তিপবর্ণ আন্দোলনকে বিপথে চালিত করার চেষ্টা করেছে। এই কমিটি তাদের লড়াইয়ের অঙ্গ নয়।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback