অবশেষে সিবিআই দফতরে হাজির হলেন কয়লা পাচারকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালা। এর আগেও বহুবার তাঁকে তলব করে নোটিশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। বারবারই তিনি হাজিরা এড়িয়েছিলেন। তাঁকে হন্যে হয়েই খুঁজছিলেন সিবিআই গোয়েন্দারা। কিন্তু গোপন আস্থানা থেকেই লালা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। আর তাঁর আবেদনের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ আদালত নির্দেশ দেয় এখনই অনুপ মাঝির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে পারবে না সিবিআই। সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচ দেয় আপাতত ৬ এপ্রিল পর্যন্ত লালাকে গ্রেফতার করতে পারবে না তাঁরা। এরপরই মঙ্গলবার বেলা এগারোটা নাগাদ কলকাতার নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে হাজির হন লালা।
এর আগে গত ২৭ নভেম্বর কয়লা পাচারকাণ্ডে লালাকে নোটিশ পাঠায় সিবিআই। কিন্তু এই পাচারকাণ্ডের মূল চক্রী সেই নোটিশ এড়িয়ে যান। এরপর চারবার তাঁকে নোটিশ দেয় সিবিআই, লালার বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশও জারি করা হয়েছিল। কিন্তু প্রতিবারই তিনি সুচতুরভাবে আত্মগোপন করেছিলেন। এরপর সুপ্রিমকোর্ট থেকে রক্ষাকবজ পেয়ে যান অনুপ মাঝি। সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, তদন্তে সিবিআই আধিকারিকদের সবরকম সহযোগিতা করতে হবে লালাকে। অপরদিকে সিবিআইও লালাকে আগামী ৬ এপ্রিল পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারবে না।
ফলে গ্রেফতারির ভয় না থাকায় গোপন আস্থানা থেকে অনুপ মাঝি সরাসরি হাজির হলেন নিজাম প্যালেসে। অন্যদিকে সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, কয়লা পাচারকাণ্ডের শিকড় অনেক গভীরে রয়েছে। জড়িত রয়েছে রাজনীতির অনেক রাঘব বোয়াল। তাঁদের হদিশ পেতেই লালাকে হেফাজতে নিয়ে জেরার প্রয়োজন আছে। কিন্তু আপাতত সেই সম্ভবনা নেই। তাই লালাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে প্রশ্নমালা তৈরি করে ফেলেছে সিবিআই গোয়েন্দারা। মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে জেরা শুরু হয়েছে।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback