ব্রিগেড আপডেটঃ বিজেপিতে যোগ দিলেন মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী


 

 ব্রিগেডে হাইভোল্টেজ যোগদান 


রবিবাসরীয় দুপুরে কলকাতার বুকে বিজেপির ঐতিহাসিক ব্রিগেড সমাবেশ। আর কিছুক্ষনের মধ্যেই ব্রিগেডে এসে পৌঁছবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার আগেই ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে চমক দিল বঙ্গ বিজেপি। আরও এক তারকা যোগ দিলেন বিজেপিতে, যাকে আমরা সকলেই মহাগুরু হিসেবে চিনি সেই মিঠুন চক্রবর্তী বিজেপিতে যোগদান করলেন। এদিন ধুতি-পাঞ্জাবিতে নিখাদ বাঙালি বেশেই মঞ্চে আসেন মিঠুন চক্রবর্তী। এরপর বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের হাত থেকে তুলে নিলেন দলীয় পতাকা। বেশকিছুদিন ধরেই জল্পনা চলছিল তার এই যোগদান নিয়ে। শেষমেষ অপেক্ষার অবসান ঘটল আজ। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন তার আগে একাধিক তারকা যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। এবার মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী যোগ দেওয়া যথেষ্ঠই তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বাংলার রাজনৈতিক মহল। তবে কি এবার ভোটেও লড়তে দেখা যাবে মিঠুনকে? 


 মাননীয়া বুদ্ধি কিনেছেন ৫০০ কোটি টাকায়ঃ শুভেন্দু

রবিবারের হাইভোল্টেজ ব্রিগেড সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি নন্দীগ্রামে তিনি যে তৃণমূল নেত্রীকে হারাবেনই সেটাও একবার স্মরণ করিয়ে দিলেন। এদিন শুভেন্দু বলেন, নন্দীগ্রামে মাননীয়াকে আমি হারবই, হারাবই, হারাবই। ওই মাটি আমার চেনা। ২০ বছর কাজ করেছি। নন্দীগ্রাম বুথে ভোট দেব। আমি ওখানকার ভোটার। টিভিতে দেখতে হবে আপনাকে। নন্দীগ্রামে আপনি হারবেন। আপনাকে প্রাক্তন বিধায়কের পোস্টার ছাপিয়ে রাখতে হবে। পাশাপাশি তৃণমূলের ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরকেও কটাক্ষ করেন তিনি। তাঁর দাবি, ‘মাননীয়া বুদ্ধি কিনেছেন ৫০০ কোটি টাকা দিয়ে। প্রথমে তারা ‘দিদিকে বলো’ চালু করল। তার পর বিমানবন্দর থেকে ‘বাংলার গর্ব মমতা’ পোস্টারে ঢেকে দিল’। 

এরপরই তিনি প্রশ্ন তুললেন, ‘কেন বিদ্যাসাগর, নেতাজি, রবীন্দ্রনাথ, শ্রী চৈতন্য, গুরুচাঁদ ঠাকুর, অনুকুল ঠাকুর বাংলার গর্ব হতে পারেন না?’ এখন বলছেন বাংলার মেয়ে। আপনি তো রোহিঙ্গাদের ফুফু। এদিন সংযুক্ত মোর্চার জোট নিয়েও কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, একটা হ-য-ব-র-ল জোট হয়েছে। সিপিএম কংগ্রেসকে ভোট দিতে বলছেন এক পীরসাহেব আব্বাস সিদ্দিকী। আর তৃণমূলকে ভোট দিতে বলছেন আরেক পীরসাহেব তহ্বা সিদ্দিকী। তৃণমূল-সিপিএম-কংগ্রেস এখনও তুষ্টিকরণের রাজনীতি করছে। বাংলায় তৃণমূল ফিরে এলে বাংলা কাশ্মীরে পরিণত হবে। কাশ্মীরের পণ্ডিতদের মতোই অবস্থা হবে আমাদের। এরপরেই তিনি মনে করিয়ে দেন, তৃণমূলে ২১ বছর ছিলাম। এখন আর তৃণমূল কোনও দল নয়, বরং প্রাইভেট কোম্পানি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর তোলাবাজ ভাইপোই তার হর্তাকর্তা। তৃণমূলে মমতা ছাড়া বাকি সবাই ল্যাম্পপোস্ট।
 

Post a Comment

Thank You for your important feedback

أحدث أقدم