আতঙ্ক নয়, করোনা আক্রান্ত হলে মেনে চলুন কিছু নিয়ম

 


নতুন করে করোনা সংক্রমণে আবার চ্যালেঞ্জের মুখে গোটা দেশ। ভোট আবহে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে পশ্চিমবঙ্গবাসীর। প্রতিদিন রেকর্ড হারে বাড়ছে সংক্রমণ। ভয় বাড়াচ্ছে মৃত্যুর পরিসংখ্যানও। সংক্রমণ থেকে উপসর্গ, সবেতেই কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে করোনা ভাইরাসের নতুন এই স্ট্রেন।  অহেতুক আতঙ্কিত হয়ে বাড়িতে রেমডেসিভির ইঞ্জেকশন, অক্সিজেন সিলিন্ডার মজুত করছেন অনেকে। ফলত বাজারে অক্সিজেনের সঙ্কট তৈরি হচ্ছে।  

যদিও এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে আশার কথা শোনালেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা। তাঁদের মতে, করোনা অতিমারীতে অযথা আতঙ্কিত না হয়ে বাড়িতে থেকেই মেনে চলুন কিছু পদ্ধতি, মারণ ভাইরাসের হাত থেকে রেহাই মিলতে পারে সহজেই। এইমসের ডিরেক্টর ডা.রণদীপ গুলেরিয়া বলেছেন, 'করোনা সংক্রমণ স্বাভাবিক। ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ মানুষেরই স্বাভাবিক উপসর্গ ধরা পড়ছে।  যেমন জ্বর, সর্দি-কাশি, গা-হাত-পা ব্যথা। এসব ক্ষেত্রে রেমডেসিভিরের প্রয়োজন নেই।' তাঁর মতে, এক্ষেত্রে বাড়িতে থেকে যোগাসন করা, নিয়ম মেনে কয়েকটি ওষুধ এবং ভিটামিন ও প্রোটিন যুক্ত খাবার খাওয়াই যথেষ্ট। এর ফলে করোনা আক্রান্ত হওয়ার ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে রোগীরা সুস্থ হয়ে উঠবেন।  এসব ক্ষেত্রে রেমডেসিভির বা অক্সিজেনের প্রয়োজন পড়ে না।  তিনি আরও জানান, ১০-১৫ শতাংশ আক্রান্তের দেহে করোনা ভাইরাস গুরুতর প্রভাব ফেলে, একমাত্র ওইসব ক্ষেত্রেই রেমডেসিভির বা অক্সিজেনের প্রয়োজন দেখা দিতে পারে।  ফলত করোনা আক্রান্ত হলেই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দরকার নেই 

এক বেসরকারি হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. নরেশ ত্রেহানের মতে, সময় মতো সঠিক ওষুধ সেবন করলে করোনায় আক্রান্ত ৯০ শতাংশ রোগী বাড়িতে থেকেই সেরে উঠতে পারেন।  তবে আরটিপিসিআর পরীক্ষায় রিপোর্ট পজিটিভ আসামাত্র চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। 

Post a Comment

Thank You for your important feedback

أحدث أقدم