লকডাউনে পুরানো দিল্লি থেকে লখনউ, সর্বত্র ঈদ পালিত হল ঘরের ভিতরেই। দিল্লির জামা মসজিদে বিশাল জমায়েত এবার হয়নি, এবার ভিড় ছিল না ঈদগাহগুলিতে। এই প্রথম ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় হল রুদ্ধ ঘরেই, অন্যের ছোঁয়াচ এড়িয়ে। সবরকম ধর্মীয় জমায়েত এবার নিষিদ্ধ। ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জমিয়েত উলেমা এ হিন্দের মতো ধর্মীয় সংগঠনগুলি কঠোরভাবে লকডাউন বিধি মেনে চলার অনুরোধ জানিয়েছিল। কেরলের তিরুঅনন্তপুরমে পালায়ম মসজিদে ঈদের নামাজ লাইভ স্ট্রিমিং করা হয়। কেরল সরকার বিধি খানিকটা শিথিল করলেও ভিডিও কলেই যোগযোগ করেছেন একে অপরের সঙ্গে। কাশ্মীরেও শ্রীনগর সহ বড় মসজিদগুলিতেও এবার নামাজ পড়া হয়নি। তবে গ্রামের ভিতরের মসজিদগুলিতে কোথাও কোথাও নামাজ পড়া হয়েছে বলে খবর। গতবছরও ৩৭০ ধারা রদের পর কার্ফু জারি হয়েছিল। কর্নাটকের দক্ষিণ কানাড়া ও উদুপিতেও ঈদ ছিল জমায়েতহীন। খালি ছিল ম্যাঙ্গালুরুর ঈদগাহ ময়দান। পুরানো দিল্লিতে ঈদের কেনাকাটার ভিড় এবার উধাও। লোকের হাতে টাকা নেই। অন্যবার ভিড়ে হাঁটাই মুশকিল হয়ে যেত এই এলাকায়। লখনউয়ের আমিনাবাদ, নাজিমাবাদ, ফতেগঞ্জ, কায়সরবাগও শুনশান। কলকাতাতেও হয়নি রেড রোডের নামাদ, খালি জ্যাকারিয়া স্ট্রিটও।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback