
করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা উত্তর দিনাজপুর জেলায় ক্রমবর্ধমান। আতঙ্কে সাধারণ রোগীরাই ভর্তি হচ্ছেন না রায়গঞ্জ সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। হাসপাতালে ৫০০টি বেড থাকলেও ১০০ জন রোগীও ভর্তি নেই। ফলে একপ্রকার হাত-পা গুটিয়েই বসে রয়েছেন হাসপাতালের এমার্জেন্সি থেকে বিভিন্ন ওয়ার্ডে কর্মরত চিকিৎসক থেকে নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা। করোনা আতঙ্কের কারণেই রোগীরা গুরুতর সমস্যা না হলে ভর্তি হতে চাইছেন না বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যদিও গ্রামেগঞ্জে সাধারণ মানুষের কাছে হাসপাতালে অযথা করোনা নিয়ে আতঙ্ক না করার জন্য প্রচার চালাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যরা। বিশেষ করে, যেদিন থেকে উত্তর দিনাজপুরে পরিযায়ী শ্রমিকেরা ঢুকতে শুরু করেছেন সেদিন থেকেই অস্বাভাবিকভাবে রোগী ভর্তির সংখ্যা কমে গিয়েছে। যদিও এই হাসপাতালে কোনও করোনা রোগীর চিকিৎসা করা হচ্ছে না। করোনার জন্য আলাদা হাসপাতাল করেছে জেলা প্রশাসন। তবুও সাধারণ মানুষের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হলে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ হতে পারে এই আতঙ্ক গ্রাস করেছে।
অন্যদিকে, এক লাফে কোচবিহারে ৩২ জনের মধ্যে করোনা সংক্রমণ পাওয়ার পরই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। শনিবার জেলা প্রশাসনের টাস্ক ফোর্স কমিটি বেঠকে কোচবিহার কোবিড হাসপাতালকে পূর্ণাঙ্গ হাসপাতালে গঠন করা হবে। পাশাপাশি কোচবিহার জেলার তুফানগঞ্জ মানসিক হাসপাতালকে সারি হাসপাতাল (প্রি কোভিড হাসপাতাল) করা হচ্ছে। পাশাপাশি যে সমস্ত এলাকায় করোনা মিলেছে সেগুলোকে কনটেনমেন্ট জোন করা হবে । মোট ২৪টি কন্টেনমেন্ট জোন করা হবে । দিনহাটা মহকুমার চব্বিশটি এবং তুফানগঞ্জে একটি।
মুর্শিদাবাদে নতুন করে ১১ জন আক্রান্তের খবর মিলেছে রবিবার। খড়গ্ৰাম ব্লকে ৬, ভরতপুরে ২ জন, নবগ্ৰাম ব্লকে ২ জন ও লালগোলায় ১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। দুর্গাপুরে ভর্তি জন।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback