লকডাউন। তারপর আমফান এই দুইয়ের পর ফের আতঙ্কে জঙ্গলমহল। সোমবার কংসাবতী নদী পেরিয়ে প্রায় ৩০-৩৫টি হাতিরদল ঢুকে পড়েছে মনিদহ অঞ্চল এলাকায়। আর তার ফলেই মাথায় হাত এলাকার মানুষের। এই সময় জমিতে ফসল না থাকায়, দোলমার দামালরা গৃহস্থ বাড়িতে হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের। স্থানীয় মানুষদের কথায়, লকডাউনের সময় এমনিতেই মানুষের রোজগার কমে গিয়েছে। তার উপর হাতির দল ঢুকে গেল এলাকায় ফলে চিন্তায় আর ঘুম হবেনা। বনদফতরের এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা হাতির দলটিকে উপর নজরে রাখছে সময়-সুযোগমতো দলটিকে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালাবে।
অন্যদিকে, জঙ্গলমহলে হাতির আক্রমণ থেকে ফসলকে বাঁচাতে, জীবনহানি রুখতে প্রশাসনের হাতিয়ার “এলিফেন্ট প্রোটেকশন স্ট্রেঞ্জ” বা হাতি রক্ষাকারী পরিখা বা নালা। বাঁকুড়ার সারেঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে একশো দিনের কাজের প্রকল্পে বিক্রমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হাতবারি, গোপালডাঙা, বড়গাড়র, কদমা সহ জঙ্গল লাগোয়া গ্রামের জঙ্গলে সীমানা বরাবর পাঁচ ফুট গভীর, আট ফুট চওড়া এই নালা কাটা হচ্ছে। এর ফলে হাতি যখন জঙ্গল থেকে গ্রামের দিকে আসবে তখন ওই নালার কাছে বাধা পেয়ে ফিরে যাবে বা সহজে তা পার হতে পারবে না। এতে একশো দিনের প্রকল্পে বিপুল সংখ্যক মানুষ কাজ পাবেন। জানা গিয়েছে, বিক্রমপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় প্রায় পাঁচ কিমি এই রকম নালা তৈরি করা হচ্ছে যার আনুমানিক ব্যয় প্রায় চব্বিশ লক্ষ টাকা।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback