মানুষ বাড়ি ফিরতে চাইছে। এটাই মানবিক স্বভাব। দেখতে হবে, করোনা যেন গ্রামে ছড়িয়ে না পড়ে। এখন এটাই চ্যালেঞ্জ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সোমবার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ৬ ঘণ্টার ভিডিও বৈঠকে বলেন, সরকার চেয়েছিল যে যেখানে রয়েছেন, সেখানেই থাকুন। কিন্তু মানুষ বাড়ি ফিরতে চাইবেনই। তাই কিছু সিদ্ধান্ত বদলাতে হয়েছে আমাদের। তবে একটা কথা মাথায় রাখতে হবে, সংক্রমণ যেন কোনওভাবেই গ্রামগুলিতে পৌঁছতে না পারে। আমাদের সামনে এটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেন, রাজ্যগুলি নিজের দায়িত্ব মতো করোনা মোকাবিলা করছে। সব রাজ্যের সচিবদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন ক্যাবিনেট সচিব। কীভাবে অর্থনীতির পুনরুজ্জবীন কার যায়, তা নিয়ে তাদের পরামর্শ চেয়েছেন তিনি। ধীরে, নিশ্চিতভাবেই অর্থনৈতিক কাজকর্ম শুরু হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এদিনের বৈঠকে সব রাজ্যকেই বলার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে তাদের মত জানাতে বলা হয়েছিল লিখিতভাবে। জানা গিয়েছে, সব রাজ্যই আটকে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে। অভুক্ত শ্রমিকরা পায়ে হেঁটে বাড়ির দিকে রওনা হচ্ছেন। কিছু ট্রেন চালু করা হলেও সমস্যা মোটেই কমেনি। রাজ্যগুলি পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য আর্থিক প্যাকেজের দাবিও তুলেছে।
অন্যদিকে, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, তামিলনাড়ু ও ছত্তিশগড় এখনই ট্রেন না চালানোর জন্য অনুরোধ করেছে। তাছাড়া, কোন এলাকা কোন জোনে থাকবে তা ঠিক করার অধিকার রাজ্যকে দেওয়ার দাবিও জানানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্যরাও ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। অমিত শাহ আরোগ্যসেতু অ্যাপের উপকারিতা নিয়ে বলেন। মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে এনিয়ে পঞ্চমবার বৈঠক করলেন মোদি।
Post a Comment
Thank You for your important feedback