কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে এই যুবক একাই খাচ্ছেন ৪০টি রুটি, ২০ প্লেট ভাত!

ভিনরাজ্যে থেকে ফেরত আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের কোয়ারেন্টাইন করতে হিমশিম বিহার সরকার। বাংলার পড়শি এই রাজ্যের কাটিহার, পূর্ণিয়া, দারভাঙ্গার মতো এলাকা থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য তৈরি করা কোয়ারেন্টাইন সেন্টারগুলির দুর্দশার খবর মিলছে। মিলছে না পর্যাপ্ত খাবার, পাওয়া যাচ্ছে না সাধারণ পরিষেবাও। এরমধ্যেই নজর কাড়ছে এক যুবকের খবর। তাঁর নাম অনুপ ওঝা। রাজস্থান থেকে ফেরা এই যুবক এখন বক্সারের এক কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রয়েছেন। মূলত তাঁর জন্যই মাঞ্জওয়ারির সরকারি বেসিক মিডল স্কুলের কোয়ারান্টাইন সেন্টারটি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। কারণ অনুপ ওঝা দুপুরের খাবারে একাই ৪০টি রুটি ও ১০ থেকে ২০ প্লেট ভাত খান প্রতিদিন। তাঁর খোরাক জোগাতেই হিমশিম খাচ্ছেন এই সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের কর্মকর্তারা।
 পাশাপাশি তাঁরা বিরক্ত এই যুবকের খাওয়া দেখে। কারণ এই সেন্টারে তিনটি খাবারের জায়গা রয়েছে। এখানকার অভিবাসীরা নিয়ম মেনেই প্রতিদিন দু-বেলা খাবার খান। কিন্তু অনুপ একাই প্রায় ৪-৫ জনের খাবার একা খেয়ে নিচ্ছেন। একবার ওই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে বিহারীদের প্রিয় লিট্টি-চোখা হয়েছিল। অনুপ একাই ৮৫টি লিট্টি খেয়েছেন বলে জানিয়েছেন ওই সেন্টারের কর্মকর্তারা। তবে অনুপের দাবি, তিনি বরাবরই এরকম খাবার খেয়ে থাকেন। বাড়িতে থাকলেও তিনি ৪০-৪৫টি রুটি খান। তাঁর দাবি, একবারে ১০০টি সিঙ্গাড়া (সামোসা) খেতে পারেন তিনি। তাঁর এই অস্বাভাবিক খাওয়া দেখে অবাক এই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের ডাক্তার ও নার্সরাও। কারণ অনুপের উচ্চতা খুব একটা বেশি নয়। ওজন ৭০ কেজি। তবুও এই যুবক এতটা খান কী করে সেটা ভেবেই অবাক হচ্ছেন তাঁরা। তবে জানা গিয়েছে, অনুপ যেমন খেতে পারে, তেমনই অনেক কাজ করতে পারেন। একাই দু-তিন জনের কাজ করে দিতে পারেন অনায়াসে। অনুপের খাবারের বহর শুনে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন বক্সারের ম্যাজিস্ট্রেট স্বয়ং। তিনি এই কাণ্ড দেখে ও অনুপের সঙ্গে কথা বলার পর জানিয়ে দেন তাঁকে যেন ওই পরিমাণ খাবারই দেওয়া হয়। ফলে খুশি অনুপ। 

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post