করোনা সংক্রমণে বিশ্ব-তালিকায় ইতিমধ্যেই ভারত উঠে এসেছে পাঁচ নম্বরে।
এরমধ্যেই সোমবার থেকে বাংলায় খুলে
গেল সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি অফিস। এর
আগে কিছু সরকারি ও বেসরকারি অফিস খুললেও কর্মী সংখ্যা ছিল কম। এবার ৭০
শতাংশ কর্মীকেই কাজে যোগ দিতে নির্দেশ দিয়েছে অধিকাংশ অফিস। কোনও কোনও
দফতরে বা অফিসে ১০০ শতাংশই হাজিরার নির্দেশ রয়েছে। আবার এদিন থেকেই খুলে
যাচ্ছে সমস্ত শপিং মল, হোটেল-রেস্তরাঁ, ধর্মীয় স্থান। ফলে সোমবার সকাল
থেকেই হাজার হাজার অফিসযাত্রী নেমে পড়ে রাস্তায়। কিন্তু পূর্ব কথামতো দেখা
নেই বাসের। এর আগেই বেসরকারি বাসমালিক সংগঠনগুলি দাবি করেছিল সোমবার থেকে
৩০ শতাংশ বেশি বাস রাস্তায় নামবে। কিন্তু এদিন রাস্তায় তার দেখা মিলল না।
ফলে চুরান্ত হয়রানির শিকার হতে হল রাস্তায় নামা অফিসযাত্রীদের। এই পরিস্থিতিতে পথে বাস না পেয়ে বিভিন্ন এলাকায় ক্ষোভে ফেটে পড়লেন
অফিসযাত্রীরা। এদিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ দমদম চিরিয়ামোড়ে পথ অবরোধ শুরু
করেন নিত্যযাত্রীরা। বাস না পেয়ে দীর্ঘ অপেক্ষার পরই তাঁদের ধৈর্যের বাঁধ
ভাঙে। পরে অবশ্য পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে আধঘন্টা পর। এই অবরোধের জেরে
তীব্র যানজট হয় দমদম চিড়িয়ামোড় সংলগ্ন বিটি রোডে। শহর কলকাতার
উল্টোডাঙ্গা থেকে খিদিরপুর। সল্টলেক থেকে শ্যামবাজার। ডানলপ থেকে রাসবিহারী
মোড় সর্বত্রই বাসের জন্য দৌঁড়াদৌঁড়ি করতে হচ্ছে সাধারণ নিত্যযাত্রীদের।
রাজ্য পরিবহন দফতর আগেই জানিয়েছিল সোমবার থেকে ১০০ শতাংশ সরকারি বাস থাকবে
রাস্তায়। অর্থাৎ প্রায় দেড় হাজার সরকারি বাস নামানো হয়েছে সোমবার থেকে।
কিন্তু বেসরকারি বাসের ক্ষেত্রে এই সংখ্যাটা অনেকটাই কম থাকায় সমস্যা তৈরি
হচ্ছে। যেমন অন্যান্য সাধারণ দিনে যেখানে ৮৫০০ বেসরকারি বাস ও মিনিবাস
নামত, সেখানে ২০০০ থেকে ২৫০০ বাস-মিনিবাস নামতে পারে বলে জানিয়েছে বাস
সংগঠনগুলি। ফলে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। কামারহাটি ২৩০ বাসস্ট্যান্ডে এদিন প্রায় এক কিলোমিটার লম্বা লাইন। যত সিট
তত যাত্রী নেওয়ায় লাইন কমার নামই নেই। একই চিত্র ডানলপ মোড়েও। সকাল থেকে
ধৈর্য ধরে লাইনে দাঁড়ালেও বেলার দিকে ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে সেখানে। একেকটি
বাস আসতেই জোর করে বাসে উঠে পড়তে দেখা গিয়েছে প্রচুর মানুষকে। ফলে সামাজিক
দূরত্ব উঠেছে শিকেয়। একই অবস্থা উল্টোডাঙ্গা, বেলেঘাটা, সল্টলেক,
রাসবিহারী, টালিগঞ্জ, বালিগঞ্জ ও শ্যামবাজারেও। অপরদিকে কলকাতা লাগোয়া
শহরতলপতে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটি, ব্যারাকপুর,
বারাসত, হাবড়া, মধ্যমগ্রাম, সোদপুর থেকে বাসের জন্য দীর্ঘ প্রতীক্ষা করতে
হচ্ছে অফিসযাত্রীদের। অথচ সেই পরিমান বাসের দেখা নেই। কিছু বেসরকারি বাস
এদিন রাস্তায় নামলেও সামাজিক দূরত্ববিধি মানা হচ্ছেনা। অফিসযাত্রীদের
অভিযোগ, অফিস চালু করে দিলেও পর্যাপ্ত পরিবহণ ব্যবস্থা নেই। অফিস পৌঁছে
গেলেও বাড়ি ফিরব কীভাবে সেটা নিয়েই ভয়ে কাঁপছি এখন। অপরদিকে বাস ভাড়া
বৃদ্ধি নিয়ে রেগুলারিটি কমিটি গঠন করেছে রাজ্য সরকার।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback