কিসের ভিত্তিতে শিথিল লকডাউন? রিপোর্ট তলব কলকাতা হাইকোর্টের


অপরিকল্পিতভাবেই লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। ফলে পর্যাপ্ত গণপরিবহণের ব্যবস্থা না করেই সরকারি বেসরকারি অফিস খুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে সাধারণ অফিসযাত্রীরা নিত্য সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন। এই নিয়ে সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। এই মামলার আবেদনকারীর আইনজীবীদের বক্তব্য শোনার পর কলকাতা হাইকোর্ট কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করল। আগামী ১১ জুনের মধ্যে তাঁদের জানাতে হবে কিসের ভিত্তিতে লকডাউন শিথিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এও জানাতে হবে, লকডাউন তোলার জন্য কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। শুক্রবারই এই গুরুত্বপূর্ণ মামলাটি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জরুরী ভিত্তিতে শুনানি হয় প্রধান বিচারপতি টি বি রাধাকৃষ্ণণ ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে।
 
 আদালতে মামলাকারীর আইনজীবী দাবি করেছেন, কোনও পরিকল্পনা ছাড়াই লকডাউন তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। ফলে বাজারহাট থেকে অফিস-কাছারি সবই খুলে গিয়েছে। কিন্তু লোকাল ট্রেন, মেট্রোর মতো গণপরিবহণ চালু হয়নি। পাশাপাশি ঘরে ফেরা শ্রমিকদের ব্যাপারেও সরকারের কোনও সুস্পষ্ট নীতি নেই। নেই পর্যাপ্ত কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের ব্যবস্থাও। উল্লেখ্য, ৮ জুন থেকে ৭০ শতাংশ কর্মী নিয়ে সরকারি এবং বেসরকারি অফিসগুলি খোলার কথা ঘোষণা হয়েছে। অথচ কবে থেকে লোকাল ট্রেন ও মেট্রোরেল চলবে সেটা এখনও জানানো হয়নি। ফলে যে অল্প সংখ্যক সরকারি ও বেসরকারি বাস চলছে তাতে ভিড় উপচে পড়ছে। এরপরই লকডাউন শিথিল করা নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যে সরকারের জবাব চেয়ে রিপোর্ট তলব করেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এই সংক্রান্ত হলফনামা আগামী ১১ জুনের মধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।




Post a Comment

Thank You for your important feedback

أحدث أقدم