
দীর্ঘ দুমাসের বেশি সময় ঝাঁপ বন্ধ ছিল হোটেল রেস্তোরাঁগুলির। করোনা সতর্কতায় লকডাউনের ধাক্কায় কার্যত ধুঁকছে হসপিটালিটি ব্যবসা। অবশেষে ৮ জুন ঝাঁপ খুলতে চলেছে রাজ্যের হোটেল, রেস্তরাঁ ও ক্যাফের। অনেকেই হয়তো ভাবছেন এবার বান্ধবী বা মনের মানুষটির সঙ্গে গিয়ে পছন্দের খাওয়া-দাওয়া সারবেন। কিন্তু কেউ যদি ভেবে থাকেন আশ মিটিয়ে সেলফি তুলবেন, সে গুড়ে বালি। লকডাউনের পরবর্তী সময়ে শহরের বেশিরভাগ রেস্তরাঁ, ক্যাফেতে এবার ঝুলতে চলেছে ‘নো সেলফি’ বিজ্ঞপ্তি। ফলে এবার অনেকটাই পরিবর্তন আসতে চলেছে শহরের রেস্তরাঁ-ক্যাফেতে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্যই জারি থাকবে কিছু নিয়মকানুন। এরমধ্যে অন্যতম গা ঘেঁষে সেলফি নেওয়ার চল। অর্থাৎ মনের মানুষটির সঙ্গে বা সমবেতভাবে সেলফি নিলেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। শহরের রেস্তরাঁ বা ক্যাফেতে গিয়ে একটা বা দুটি সেলফি তুলে সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন না এমন লোক কমই আছেন। কিন্তু এবার সেটা নৈব নৈব চ। ফলে আনলক-ওয়ানের মধ্যে হোটেল, রেস্তোরাঁ বা ক্যাফেগুলির ব্যবসা কতটা হবে এই নিয়ে চিন্তায় ব্যবসায়ীরা। শহরের বেশিরভাগ রেস্তোরাঁ বা ক্যাফেতে আসেন মূলত নবীন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা। তাঁদের হই হুল্লোরে বাঁধা পড়লে ভিড় কমতে পারে বলেই মনে করছেন অধিকাংশ রেস্তরাঁ কর্তপক্ষ। আবার, আড়াই মাসের লকডাউনে আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত অধিকাংশ হোটেল বা রেস্তরাঁ। আয় না থাকায় অনেকেই বাড়িভাড়া মেটাতে পারেননি। আবার অনেকেই কর্মচারিদের বেতন দিতে পারেনি। ফলে কর্মী সংখ্যাও কমেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। এবার দোকান খোলার পর ব্যবসা নিয়েই চিন্তায় অধিকাংশ হোটেল ও রেস্তরাঁর মালিক। কারণ সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে রেস্তরাঁয় বসার ব্যবস্থা করতে হবে। ফলে সিট কমাতে হবে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ। যে টেবিলে ১০ জন বসে খেতে পারতেন, সেখানে বসতে পারবেন ৬ জন। পাশাপাশি স্যানিটাইজার ও কাগজের প্লেট-গ্লাসের ব্যবস্থা করতেও খরচ বাড়বে। এছাড়া কর্মচারীদের মাস্ক, গ্লাভস ও সুরক্ষাবর্ম দিতেও হবে খরচ। ফলে স্বভাবতই খাবারের দাম বাড়বে। একে লকডাউনের জেরে ধুঁকছে রেস্তরাঁ শিল্প, অন্যদিকে এই খরচে চাপ। ফলে অধিকাংশ ছোট ও মাঝারি রেস্তরাঁ আদৌ চালানো সম্ভব হবে কিনা সেটা নিয়েই সন্দেহ প্রকাশ করছেন মালিকপক্ষ।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback