
ভিনরাজ্য থেকে ফেরা কয়েকজন পরিযায়ী শ্রমিকের দেহে মিলেছিল করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব। এরপরই ওই শ্রমিকদের গ্রামে গিয়ে তাঁদের পরিবারের সদস্যদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করার সিদ্ধান্ত নেয় জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার সকালে সেইসতো পাঁচজনের স্বাস্থ্যকর্মীর একটি দল অ্যাম্বুলেন্সে চেপে মালদহের ভুতনি এলাকার কয়েকটি গ্রামে যাচ্ছিলেন। কিন্তু পথেই হল বিপত্তি। অত্যন্ত খারাপ রাস্তায় কাদায় আটকে গেল সেই অ্যাম্বুলেন্স। প্রায় এক হাঁটু কাদায় আটকে গেল অ্যাম্বুলেন্সের সামনের চাকা, কোনওক্রমে গ্রামবাসীদের চেষ্টায় সাজসরঞ্জাম নিয়ে ওই অ্যাম্বুলেন্স থেকে বেরিয়ে আসেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।

ফলে লালারসের নমুনা না নিয়েই ফিরতে হল তাঁদের। এদিন সকালে মানিকচক থেকে সরকারি গাড়িতে ওই দলটি পৌঁছয় ভূতনিতে। তাঁদের যাওয়ার কথা ছিল পুলিনটোলা, খুশবরটোলা প্রভৃতি এলাকায়। এদিন সকালেই ভুতনি হাসপাতাল থেকে একটি অ্যাম্বুলেন্স তাঁদেরকে ভুতনি ব্রিজ হয়ে গন্তব্যের দিকে রওনা দেয়। কিন্তু পথেই গোবর্ধনটোলা এলাকায় বেহাল রাস্তায় কাদামাটির মধ্যে অ্যাম্বুলেন্সের সামনের চাকা বসে যায়। গ্রামবাসীদের সহায়তায় দরজা দিয়ে লাফ ঝাঁপ দিয়ে নামেন পুরুষ ও মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীরা। কিন্তু তাঁদের আর ওই সমস্ত গ্রামে আর পৌঁছানো হয়নি। সরকারি কাজে আসা স্বাস্থ্যকর্মীদের গাড়িই যদি এভাবে আটকে যায় তবে নিত্যদিন এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াতকারী মানুষদের কী অবস্থা হয়? প্রশ্ন গ্রামবাসীদের। মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি বলেন, আগাম না জানিয়ে যাওয়ার কারণেই ওই রাস্তা গাড়ি চলাচলের উপযুক্ত করা যায়নি। আগামীকাল যাতে ওই এলাকায় স্বাস্থ্যকর্মীরা পৌঁছে লালারসের নমুনা সংগ্রহ করতে পারেন তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Post a Comment
Thank You for your important feedback