পরিবেশের নতুন ‘মাথাব্যথা’ এখন করোনার জন্য ব্যবহৃত মাস্ক ও গ্লাভস

 
আজ বিশ্ব পরিবেশ দিবস। পরিবেশ দূষণের জন্য বিশ্বজোড়া আন্দোলন চলছে। তবুও পরিবেশ রক্ষায় মানুষ এখনও অনেকটাই সচেতন নয়। এতদিন মানুষই পরিবেশের ক্ষতি করতেন। এবার সেখানেও থাবা বসালো কোভিড-১৯ ভাইরাস। কীভাবে? বিশ্বের পরিবেশবিদদের বর্তমানে সবচেয়ে মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ব্যবহৃত সার্জিকাল মাস্ক ও গ্লাভস ও পিপিই কিট। যেগুলি করোনা মোকাবিলায় অন্যতম হাতিয়ার। সেগুলিই এখন পরিবেশ দূষণের অন্যতম মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সমুদ্রের ধারের শহরগুলি। করোনা ভাইরাস রুখতে সকলেই এখন ব্যবহার করছেন মাস্ক, গ্লাভস। বিশেষ করে যারা সরাসরি করোনা মোকাবিলায় অংশ নিচ্ছেন। তাঁরা রোজই কয়েকটি করে সার্জিক্যাল মাস্ক ও গ্লাভস ব্যবহার করছেন। পাশাপাশি তাঁদের পরিত্যাক্ত পিপিই কিট নিয়েও সমস্যায় পড়ছেন সাফাইকর্মীরা। বিশ্বের অধিকাংশ দেশই রীতিমতো নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছে, মাস্ক ছাড়া রাস্তায় বেরনো যাবে না। ফলে নাগরিকরা করোনা আতঙ্কের জেরে মাস্ক কিনছেনও দেদার। কেবলমাত্র ওষুধের দোকান নয়, ছোটখাটো দোকানেও পাওয়া যাচ্ছে মাস্ক ও গ্লাভস। আবার রঙবেরঙের নানান মাস্ক আজকের দিনে ফ্যাশন স্টেটমেন্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এত এত ব্যবহৃত মাস্কের হচ্ছেটা কী? সেটা নিয়েই আতঙ্কিত পরিবেশবিদরা।
 
পরিবেশ সংরক্ষণের কাজে যুক্ত ‘ওশান এশিয়া’ নামে একটি সংস্থার গবেষকেরা গত দুমাসে এশিয়ার বিভিন্ন সৈকতে বিপুল পরিমাণে সার্জিক্যাল মাস্ক পেয়েছেন। এতে মারাত্মক বিপদ দেখছেন পরিবেশবিদরা। কারণ রাবারের গ্লাভস ও সার্জিক্যাল মাস্ক একেবারেই বায়োডিগ্রেডেবল নয়। ফলে এগুলি সমুদ্রে ভাসতে থাকে। পাশাপাশি এগুলির রঙ সামুদ্রিক প্রাণীদের আকৃষ্ট করে। ফলে খাবার ভেবে যদি সামুদ্রিক মাছ এই মাস্ক ও গ্লাভস খেয়ে ফেলে তাহলেই বিপদ। কারণ এগুলি করোনার মতো মারণ ভাইরাস ঠেকাতেই ব্যবহার হচ্ছে। এর আগে পরিবেশ সংগঠনগুলি বিভিন্ন সময়ে টন টন প্লাস্টিক বোতল ও প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ জাতীয় ক্ষতিকর জিনিষ সমুদ্র থেকে উদ্ধার করেছে। এবার সেগুলির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে করোনা রোখার মাস্ক ও গ্লাভস। তাই করোনা কেবল মানুষকেই নয়, বিপদে ফেলছে পরিবেশকেও।

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post