করোনা লাগামছাড়া, ফের লকডাউন জারি রাজ্যে


৯ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা থেকে ফের শুরু হচ্ছে লকডাউন। মঙ্গসবার রাজ্য স্বরাষ্ট্রসচিব এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, কনটেনমেন্ট জোনে বন্ধ থাকবে পরিবহন, বাজার, শিল্প কারখানা, সব সরকারি ও বেসরকারি অফিস, বন্ধ থাকবে জরুরি নয় এমন সবরকম কাজকর্ম নিষিদ্ধ হল। কতদিন তা জারি থাকবে তা জানানো হয়নি। কনটেনমেন্ট জোনের যে নীতি ছিল তার সঙ্গে বর্তমানে বাফার জোনের যে নির্দেশ রয়েছে, তা মেনে চলতে হবে। কনটেনমেন্ট জোনের কর্মচারীদের কথা বিবেচনা করতে হবে অফিসগুলিতে। কোন জেলায় কোনটা কনটেনমেন্ট জোন তা ঠিক করবেন জেলা প্রশাসন।


মঙ্গলবারই উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের তরফে লকডাউনের একটি প্রস্তাব নবান্নে পাঠানো হয়েছিল। অপরদিকে পুলিশের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছেন কলকাতার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিমও। এদিন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের একটি খসড়া পরিকল্পনাই ফের লকডাউনের জল্পনা উস্কে দেয়। সেখানে ১৪ দিনের জন্য সমস্ত বাজার, ধর্মীয় স্থান, গণপরিবহণ বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে। জরুরি কারণ চাড়া অটো, টোটো, ভ্যান-রিকশা, বাস পরিষেবা সম্পূর্ণ বন্ধ রাখতে হবে। তবে পণ্যবাহী গাড়ি চলতে পারে। পাশাপাশি জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্তদের থানা থেকে পাস সংগ্রহ করতে হবে বলে বলা হয়েছিল ওই প্রস্তাবে।
নবান্ন সূত্রের খবর, জেলার সমস্ত থানাগুলিকে ইতিমধ্যেই হটস্পট এলাকা চিহ্নিত করে তালিকা তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শহর এবং শহর লাগোয়া এলাকাগুলিতে লকডাউনে বিশেষ কড়াকড়ি করা হবে। গ্রামাঞ্চলেও মেনে চলতে হবে লকডাউনের বিধিনিষেধ। কলকাতায় ভবানীপুর, বাগবাজার, পন্ডিতিয়া রোড, কাঁকুড়গাছি, আলিপুর, টালিগঞ্জ, উল্টোডাঙা, ইন্দ্রপুরি স্টুডিও, মুকুন্দপুর, গড়িয়াহাট লেক রোডের মতো ১৮ টি এলাকা কন্টেনমেন্ট জোনের আওতায় রয়েছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে এই এলাকাগুলিতে মোট ১ হাজার ৮৭২টি আইসোলেশন ইউনিট রয়েছে। রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, লোকজন বিধিনিষেধ মানছেন না। রাস্তায় বেরিয়ে আসছেন। সে কারণে পুলিশের সাহায্য চাওয়া হয়েছে। যাতে করোনা আক্রান্তরা রাস্তায় না বেরোন।





অপরদিকে, কলকাতাতেও এলাকাভিত্তিক লকডাউন নিয়ে চিন্তা ভাবনা চলছে। ভবানীপুর, বাগবাজার, পন্ডিতিয়া রোড, কাঁকুড়গাছি, আলিপুর, টালিগঞ্জ, উল্টোডাঙা, ইন্দ্রপুরি স্টুডিও, মুকুন্দপুর, গড়িয়াহাট লেক রোডের মতো ১৮ টি এলাকা কন্টেনমেন্ট জোনের আওতায় রয়েছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে এই এলাকাগুলিতে মোট ১ হাজার ৮৭২টি আইসোলেশন ইউনিট রয়েছে। রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, লোকজন বিধিনিষেধ মানছেন না। রাস্তায় বেরিয়ে আসছেন। সে কারণে পুলিশের সাহায্য চাওয়া হয়েছে। যাতে করোনা আক্রান্তরা রাস্তায় না বেরোন। তবে নবান্নের তরফে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি কোন কোন এলাকায় লকডাউন কার্যকর করা হবে।

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post