পুরোনো মামলায় টানা দুদিন NIA জেরার মুখে ছত্রধর

লালগড়ের ধরমপুর অঞ্চলের শালবনি গ্রামে মাওবাদীদের হাতে সিপিএম কর্মী প্রবীর মাহাতোর খুনের মাম‌লায় শুক্রবার ছত্রধর মাহাতোকে জেরা করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ (NIA)। শনিবার ফের তাঁকে জেরা করা হচ্ছে রাজধানী এক্সপ্রেস আটকের পুরোনো মামলায়। তবে শাসকদল তৃণমূলের দাবি, রাজনীতির মূল স্রোতে আসার পরই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে এনআইএ। বর্তমানে ছত্রধর মাহাতোকে রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীতে জায়গা দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। এরপরেই তাঁকে সমন পাঠায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। জানা গিয়েছে, শুক্রবারই পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতে ২০৭ কোবরা ব্যাটালিয়নের দফতরে ডেকে পাঠিয়েছিল এনআইএ-র তদন্তকারী আধিকারিক। নোটিশ পাঠিয়েছিলেন এনআইএ কলকাতা শাখার ডিএসপি কাঞ্চন মিত্র। শুক্রবার ছত্রধরকে জেরার সময় তিনি ছাড়াও এক এসপি পদমর্যাদার অফিসার উপস্থিত ছিলেন। শনিবারও সকাল ৯টা নাগাদ শালবনির কোবরা ব্যাটালিয়নের দফতরে হাজির হন ছত্রধর। সেখানে ঢোকার মুখে তিনি অবশ্য দাবি করেন রাজধানী এক্সপ্রেস আটকানোর সময় তিনি জেলে ছিলেন। ফলে এই ব্যপারে তিনি কিছুই জানেননা। তবে তদন্তে তিনি সহযোগীতাই করবেন বলে জানিয়েছেন তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সম্পাদক ছত্রধর মাহাতো।

একদা মাওবাদী নেতা ইউএপিএ মামলায় সাজা পাওয়া ছত্রধরের সাজার মেয়াদ কমিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। গত ফেব্রুয়ারি মাসেই তিনি নিজের গ্রামে ফেরেন। এরপর সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন। শাসকদল তৃণমূলের সদস্যপদ গ্রহন করেন ছত্রধর। অপরদিকে এগারো বছর আগে লালগড় ও ঝাড়গ্রাম থানায় দায়ের হওয়া দুটি আলাদা মামলার পুনর্তদন্তের আবেদন জানায় এনআইএ। কলকাতার বিশেষ আদালত জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার সেই আবেদন মঞ্জুর করে। এই দুই মামলার পুনর্তদন্তেই ডাকা হয় ছত্রধর মাহাতোকে। যিনি একদা জঙ্গলমহলে জনসাধারণ কমিটির নেতা হিসেবে কাজ করেছেন। বর্তমানে তিনি শাসকদলের নেতা। ফলে ছত্রধরের অভিযোগ, রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি নিয়েই আমাকে হয়রান করার পরিকল্পনা চলছে। আমি ওই সব ঘটনায় যুক্ত নই। তাই ভীতও নই।

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post