ভালোবেসে জেলে যেতেও রাজি রিয়া

রবিবার সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ মুম্বইয়ের এনসিবি দফতরে হাজির হলেন অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী। কড়া পুলিশি প্রহরায় তিনি এনসিবি দফতরে যান। যদিও সংবাদমাধ্যমের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। কারণ সুশান্তকাণ্ডের তদন্তে নেমে যে মাদক যোগের ঘটনা সামনে এসেছে তাতে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো বা এনসিবি গ্রেফতার করেছে রিয়ার ভাই শৌভিক চক্রবর্তী, সুশান্তের ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডাকে। শনিবার একই কারণে গ্রেফতার হয় সুশান্তের রাঁধুনী দীপেশ সাওয়ান্ত। এবার রিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ডেকে পাঠাল এনসিবি। ফলে তাঁর গ্রেফতারি নিয়েও বাড়ছে জল্পনা। এই জল্পনার মধ্যেই রিয়ার আইনজীবীর একটি মন্তব্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে সংবাদমাধ্যমে।
রিয়ার আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডে এ দিন সংবাদ সংস্থাকে বলেন, ‘বিহার পুলিশ থেকে শুরু করে সিবিআই, ইডি এবং এনসিবি কোনও ক্ষেত্রেই রিয়া কোনও আদালতে আগাম জামিনের জন্য আবেদন করেননি’। সেই সঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘কাউকে ভালবাসা যদি অপরাধ হয় তবে তার মূল্য দিতে প্রস্তুত রিয়া। প্রয়োজনে গ্রেফতার হতেও রাজি রিয়া’। উল্লেখ্য, এর আগে রিয়াকে নির্দোষ প্রমান করতে মুখ খুলেছিলেন অভিনেত্রীর বাবাও। তিনি জানিয়েছিলেন, ‘অভিনন্দন ভারত। আমার ছেলে গ্রেফতার হয়েছে। আমি নিশ্চিত এর পর আমার মেয়ের পালা। সুচারু ভাবে একটি মধ্যবিত্ত পরিবারকে ধ্বংস করে দিয়েছ তুমি। ন্যায়বিচারের জন্য সবই তো ঠিক, জয় হিন্দ’।
এদিন মুম্বই পুলিশের নিরাপত্তার ঘেরাটোপেই এনসিবি-র দফতরে ঢোকেন সুশান্তর বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী। কিন্তু সেখানে সংবাদমাধ্যম ও সাধারণ মানুষের ভিড়ে একসময় থমকে যেতে হয় তাঁদের। পরে পুলিশের চেষ্টায় কোনও রকমে ওই দফতরে নিয়ে যাওয়া হয় রিয়াকে। তাঁর জেরা চলছে। এনসিবি সূত্রে খবর, জেরায় শৌভিক আরও বেশ কয়েক জন মাদক পাচারকারীর নাম প্রকাশ্যে এনেছেন। এই প্রসঙ্গে শৌভিকের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে রিয়াকে। উল্লেখ্য, রিয়ার সঙ্গে তাঁর ভাই এবং স্যামুয়েলের মাদক সংক্রান্ত চ্যাট প্রকাশ্যে আসে কয়েকদিন আগে। তাতে দেখা যায়, ভাই এবং স্যামুয়েলকে গাঁজার গুণমান এবং জোগান নিয়ে প্রশ্ন করেছেন রিয়া। ফলে তদন্ত শুরু করে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো।

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post