জার্মানির জেদ, কড়াকড়ি নয়, চাই মুক্তি

কথায় আছে জার্মানরা বিশ্বের সবথেকে জেদি জাতি। আইনস্টাইন থেকে কার্ল মার্কস, টমাস মান থেকে বার্গম্যান, বেকেনবাওয়ার থেকে টমাস মুলার চিরকালই জার্মানি বিশ্বকে সেরা প্রতিভা উপহার দিয়েছে। কিন্তু হিটলারের দেশ এটাও দেখিয়েছে তারা শেষ না দেখে হাল ছাড়েনা। এহেন জার্মানিই এবার করোনা আবহে ক্ষিপ্ত আমেরিকার উপর। শনিবার হাজার হাজার মানুষ বার্লিনের পথে নেমে প্রতিবাদ করলেন। টামারা নামে এক মহিলার নেতৃত্বে স্লোগান পোস্টারে ছয়লাপ রাজধানী বার্লিন। তাঁদের মুখে মাস্ক নেই, সামাজিক দূরত্ব নেই, ব্যারিকেট ভেঙে সরাসরি চ্যান্সেলের আঙ্গেলা মার্কেলের উদ্দেশ্যে তাদের দাবি ‘আমেরিকা হাঁটাও’। বিক্ষোভকারীদের আরও দাবি ছিল, ‘ট্রাম্প শুধু রাজনীতি করছে, তাঁকে পাত্তা দেওয়ার দরকার নেই।
কবে মার্কিন ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে তার ঠিক নেই। আমরা ভ্যাকসিন চাই না মুক্তি চাই’। ইউরোপের বড় দেশগুলির তুলনায় জার্মানি অনেকটাই করোনাকে আটকাতে পেরেছে। তবুও গাড়ি, পাউরুটি, বিয়ারের দেশে আড়াইলাখ মানুষ সংক্রামিত এবং ৯৪০১ জন মৃত। এবার সেই জার্মানিতেই ট্রাম্প বিরোধী আন্দোলনে উত্তেজনা ছড়াল। করোনা আবহে এই ধরণের আন্দোলন বেশ অভিনব। কারণ আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, তাঁরা কড়াকড়ি চান না, মুক্তি চান। আগের মতোই স্বাভাবিক জীবন চান। তাঁরা কেউ ঘরবন্দি হয়ে থাকতে চাননা। এই ধরণের আন্দোলন শুধু বার্লিনেই নয়, জার্মানির অন্যান্য শহরেও ছড়িয়েছে। কেউই সামাজিক দূরত্ব মানছেন না, মুখে মাস্কও পড়ছেন না। যদিও জার্মানির একাংশের ধারণা এই আন্দোলনের পিছনে রয়েছে রাজনৈতিক মদত। উল্লেখ্য, করোনা আবহ ভয়াবহ হতেই জার্মান সরকার সীমান্ত বন্ধ করে দেয়। কড়া লকডাউন, ও বিধিনিষেধেই জার্মানিতে করোনা ঠেকিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছেন অ্যাঙ্গেলা মর্কেলের সরকার।

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post