ট্রেন চালুর দাবিতে বিক্ষোভ রামপুরহাট, বারাসত স্টেশনে

 করোনা সংক্রমণের জেরে প্রায় সাতমাস ধরে বন্ধ লোকাল ও প্যাসেঞ্জার ট্রেন পরিষেবা। দূরপাল্লার কিছু স্পেশাল ট্রেন চললেও প্রয়োজনের তুলনায় সেটা খুবই কম। কিন্তু গণপরিবহণের অন্যতম বড় মাধ্যম হল লোকাল ও প্যাসেঞ্জার ট্রেন। সেই ট্রেন বন্ধ থাকায় বহু মানুষের রুজি রোজগারে টান পড়েছে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা রেলের হকারদের। দীর্ঘদিন ধরেই ট্রেন চালু করার দাবি উঠছিল। গত সপ্তাহে শিয়ালদা ও হাওড়া ডিভিশনের বেশ কয়েকটি স্টেশনে যাত্রী বিক্ষোভ হয়। যাত্রীদের বিরুদ্ধে স্টেশন চত্বর ভাঙচুর ও রেলকর্মীদের মারধোরের অভিযোগও উঠেছিল।

 

 এবার ট্রেন চালুর দাবি আন্দোলন শুরু করলেন হকাররা। সোমবারই রাজ্যের দুই প্রান্তে দুটি বিক্ষোভ আন্দোলন হয়ে গেল। বীরভূমের রামপুরহাট স্টেশনে আন্দোলনে নামে বাম শ্রমিক ইউনিয়ন CITU, অন্যদিকে উত্তর ২৪ পরগণার বারাসতে বিক্ষোভ দেখালেন হকাররা। এদিন প্রায় পাঁচশো হকার বারাসাত স্টেশন মাস্টারের ঘরের সামনে বিক্ষোভ দেখায়। ঘটনাস্থলে ছিল জিআরপি এবং রেলরক্ষী বাহিনী। প্ল্যাটফর্মেই হকাররা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মিছিল করেন। ট্রেন চালুর দাবির পাশাপাশি প্ল্যাটফর্ম ও স্টেশন চত্বরে হকারদের গুমটি খোলার অনুমতির দাবি জানানো হয়। অপরদিকে রামপুরহাটে সিটু নেতাদের বক্তব্য, ট্রেন বন্ধ থাকায় বহু মানুষের রুটি রুজি বন্ধ। রামপুরহাট স্টেশনকে কেন্দ্র করে বহু অটো, টোটো ও ছোট গাড়ির চালক রোজগার করেন। ট্রেন বন্ধ থাকায় প্রত্যেকেই চরম আর্থিক সমস্যায় পড়েছেন। ফলে এদিন তাঁরা বিক্ষোভ দেখিয়ে রেলের আধিকারিকদের স্মারকলিপি জমা করেছেন।


Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post