এবছর বেনজির দুর্গাপুজো। করোনা অতিমারির মধ্যেই চলছিল দুর্গাপুজোর আয়োজন। রাজ্য সরকারও পুজোর অনুমতি দিয়েছে কিছু বিধিনিষেধ জারি করে। সেইসঙ্গে পুজো কমিটিগুলিকে আর্থিক সাহায্য বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করে দিয়েছিল রাজ্য সরকার। এই দুটি সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেই দুটি আলাদা জনস্বার্থে মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। আর হাইকোর্টও রায় দিয়েছে নজিরবিহীন। দুটি রায়ই গিয়েছে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। পুজোর অনুমতি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দেয়, এবার পুজোয় দর্শকদের জন্য প্যান্ডেলে ‘নো এন্ট্রি’। দর্শনার্থীরা যদি মণ্ডপ-প্রতিমা নাই দর্শন করতে পারেন তবে এত আয়োজন কিসের জন্য? লাখ লাখ টাকা খরচ করে ইতিমধ্যেই পুজো প্রস্তুতি সেরে ফেলেছেন পুজো কমিটিগুলি। তাই কলকাতা হাইকোর্টের এই ঐতিহাসিক রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে ফের কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে ‘ফোরাম ফর দুর্গোৎসব’।
কলকাতার দুর্গাপুজো কমিটিগুলির সংগঠনের এই রিভিউ পিটিশন মঙ্গলবারই জরুরি ভিত্তিতে শুনানি হতে পারে। ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের সম্পাদক শাশ্বত বসু জানিয়েছেন, হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্ত আরও একটু বাস্তবোচিত হলে ভালো হত। এ নিয়ে যা বলার হাইকোর্টেই জানাব। তবে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের মতো কয়েকটি পুজো কমিটি হাইকোর্টের এই রায়কে স্বাগতই জানিয়েছেন। সূত্রের খবর, কলকাতা হাইকোর্টের এই রায় আসার পর গতকালই রাজ্যের মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিব রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তর সঙ্গে সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন। তবে সরকারিভাবে এই বিষয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করা হয়নি। এখান রাজ্যের ছোট-বড় সমস্ত পুজো কমিটিই তাকিয়ে আছে ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের রিভিউ পিটিশনের দিকে।
Post a Comment
Thank You for your important feedback