পাগড়ি বিতর্কে সাফাই দিল রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতর, রাজভবনে গেল বিজেপি

বৃহস্পতিবার বিজেপি যুব মোর্চার নবান্ন অভিযান শেষ হয়েছে সেদিনই। কিন্তু এর রেশ রয়ে গিয়েছে এখনও। গোটা অভিযানের ধুন্ধুমার পরিস্থিতির বদলে এখন একটাই বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে সেটা হল পাগড়ি বিতর্ক। নবান্ন অভিযানের মিছিল থেকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ বলবিন্দর সিং নামে এক শিখ যুবককে গ্রেফতার করে পুলিস। কিন্তু অভিযোগ, টেনে-হিঁচড়ে তাঁর পাগড়ি খুলে দেয় পুলিশ। এর বেশ কয়েকটি ভিডিও ভাইরাল হয়। যার নিন্দা করে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীও বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেন। এবার বাংলাতেও বিতর্কের ঝড় এসে পৌঁছেছে।

 রবিবারই শিখ সম্প্রদায়ের এক প্রতিনিধি দল রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন। পরে তাঁরা হাওড়া আদালতেও যান ধৃত বলবিন্দর সিংয়ের সঙ্গে দেখা করতে। এদিনই তাঁকে হাওড়া আদালতে তোলা হয়েছে। তাঁকে ৮ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পুরো ঘটনায় যথেষ্ঠ ক্ষিপ্ত শিখ সম্প্রদায়ের দিল্লির প্রতিনিধি দলটি। তাঁদের বক্তব্য, রাজ্য পুলিশের তরফে যা বিবৃতি দেওয়া হয়েছে সেটা দুর্ভাগ্যজনক। শিখের পাগড়ি খুলে তাঁর ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার সামিল। যা যথেষ্ঠ অবমাননাকর। বলবিন্দরের কাছে লাইসেন্সপ্রাপ্ত পিস্তল ছিল, তবুও তাঁর বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বহু ধারায় মামলা করেছে পুলিশ। অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহার করতে হবে বলেও তাঁরা রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়েছেন।

 এবার এই ঘটনায় প্রথম বিবৃতি দিল রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর। রবিবারই দফতরের তরফে টুইট করে জানানো হয়, ‘এরাজ্যে শিখ ভাইবোনেরা শান্তি, সম্প্রীতি ও খুশিতে থাকেন। তাঁদের বিশ্বাস ও আচারের প্রতি সবার শ্রদ্ধা রয়েছে। সাম্প্রতিককালে মিছিলে আগ্নেয়াস্ত্র সহ একজনের গ্রেফতারির প্রসঙ্গ একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। একটি রাজনৈতিক দল তাদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য তাতে ইচ্ছে করে সাম্প্রদায়িকতার রং লাগানোর চেষ্টা করছে। তথ্যের বিকৃতি ঘটাচ্ছে। পুলিস আইন মেনেই তার কাজ করেছে’। রাজনৈতিক মহলের অভিমত ইঙ্গিত বিজেপির দিকেই। এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের দাবি, ‘এই রাজ্যের সাধারণ মানুষ সহ সারা দেশের লোকজন সংবাদমাধ্যম সেদিনের ঘটনার সবটা দেখেছে।

রাজ্য যতই টুইট করুক, নিজের দোষ চাপানো যাবে না’। মুকুল রায়ও এদিন এক প্রতিনিধি দল নিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে দেখা করেন। তিনিও পড়ে বলেন, ‘পুলিশ অত্যন্ত অন্যায় করেছে। তবুও প্রশাসনের উচ্চ মহল চোখ বুজে রয়েছে। রাজ্যপালের কাছে আমরা নালিশ করেছি’। রাজ্য বিজেপি–র দাবি, বলবিন্দরের কাছ থেকে পাওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স রয়েছে। তবে পরে জানা যায় সেই লাইসেন্স জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরির।

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post