বিতর্কে তৃণমূল, ‘পঙ্গপাল রাজ্যপাল’ আলিপুরদুয়ারে রাজ্যপালের সামনেই পোস্টার

 

উত্তরবঙ্গ সফরের প্রথমেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় পৌঁছে গেলেন গালওয়ানের শহীদ বিপুল রায়ের বাড়ি। শুক্রবার সকালে সেনাবাহিনীর কনভয় নিয়ে তিনি সস্ত্রীক যান আলিপুরদুয়ারের বিন্দিপাড়ার। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পথেই কয়েকটি পোস্টারে কদর্য ভাষায় আক্রমণ করা হল রাজ্যপালকে। ১২ আলিপুরদুয়ার বিধানসভা কেন্দ্র তৃণমূল কংগ্রেসের নামে ওই পোস্টারগুলিতে তেখা হয়েছে ‘পঙ্গপাল রাজ্যপাল নির্লজ্জ বিজেপির দালাল, কোথায় ছিল এতকাল জবাব চাই জবাব দাও’। এই পোস্টার ঘিরেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। এই পোস্টারের পাশেই আরেকটি পোস্টারও দেওয়া হয়েছে, সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি সহ লেখা ‘বিপুল রায় অমর রহে’। যদিও পোস্টারে আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তীর নাম রয়েছে। এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। উল্লেখ্য এর আগে বৃহস্পতিবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে হেলিপ্যাড ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

 

গালওয়ানে চিনা সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে শহীদ ২০ ভারতীয় সেনার মধ্যে একজন আলিপুরদুয়ারের ভূমিপুত্র বিপুল রায়। এদিন সকালে রাজ্যপাল তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান আলিপুরদুয়ারের বিন্দিপাড়ায়। বিপুলের স্ত্রী সহ বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করেন সস্ত্রীক রাজ্যপাল। ব্যক্তিগতভাবে তিনি সাড়ে পাঁচ লাখ টাকার চেক তুলে দেন বিপুলের স্ত্রীর হাতে। অপরদিকে রাজ্যপালের স্ত্রীও সাড়ে পাঁচ লাখ টাকার একটি চেক তুলে দিয়েছেন বিপুলের মায়ের হাতে। এরপরই শিলিগুড়ি ফিরে যান তাঁরা।

 

পরে শিলিগুড়িতে সাংবাদিক সম্মেলন করেন রাজ্যপাল। স্বভাবতই সেখান থেকে রাজ্য সরকারকে তোপ দাগেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, ‘রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনা বাড়ছে। ছক কষে বিরোধীদের খুন করা হচ্ছে। মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিবের থেকে জবাব চেয়েও পাইনি। গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোয় এভাবে রাজ্য সরকার চলতে পারে না’। তিনি আরও বলেন, ‘এখানে রাজনীতি করতে আসিনি। দেশের জন্য শহীদ হওয়া বীর জওয়ানের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে এসেছি। ভারত সঠিক দিশায় এগোচ্ছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ নেতাদের মধ্যে একজন। কিন্তু বাংলায় উন্নয়ন হচ্ছে না। হিংসা বাংলার সংস্কৃতি নয়।আশা করবো তা সবাই মাথায় রাখবেন’। উল্লেখ্য, বিপুলের স্ত্রী রুম্পা রায়কে চাকরি দিয়েছে রাজ্য সরকার। বিপুলের ছোটভাই বকুল রায়কে কেন্দ্রীয় সরকারের গ্রুপ-সি পদে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যপাল।

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post