মেলা-উৎসবের জন্য নির্দিষ্ট গাইডলাইন তৈরি করল রাজ্য, মিলবে অনুমতি

 

করোনা আবহে দেশজুড়েই বন্ধ মেলা, প্রদর্শনী সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে। সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকায় চরম আর্থিক সঙ্কটে পড়েছেন লোকশিল্পীরা। আনলক পর্বে সিনেমা হল থেকে শুরু করে শপিং মল, মেট্রোরেল থেকে শুরু করে লোকাল ট্রেন সবই চালু হয়েছে। তবুও খোলা জায়গায় জলসা বা জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা ওঠেনি। ফলে দীর্ঘ দিন ধরেই রুজি-রুটির সঙ্কটের মধ্যে রয়েছেন রাজ্যের শিল্পী ও কলাকুশলীরা। তাঁরাও সরকারি হস্তক্ষেপের দাবি তুলছিলেন। 

এবার সেই সমস্ত শিল্পী-কলাকুশলীদের জীবন-জীবিকা স্বাভাবিক করতে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। শনিবার শিল্পী-কলাকুশলীদের জীবন-জীবিকা সুরক্ষিত রাখতে কী কী পদক্ষেপ করা যায় সেটা নিয়ে এক ভার্চুয়াল বৈঠক করেন রাজ্যের মূখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নের এই ভার্চুয়াল বৈঠকে ছিলেন সমস্ত জেলার জেলাশাসক এবং জেলা পুলিশ সুপার। ওই বৈঠকেই ঠিক হয়েছে, এবার থেকে খোলা জায়গায় জমায়েতের ক্ষেত্রে কোনও রকম সীমাবদ্ধতা থাকবে না। ফলে মেলা, প্রদর্শনী-সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান বাড়ানো যাবে। 


 অপরদিকে বদ্ধ জায়গায় সর্বাধিক ২০০ জনের সভা বা অনুষ্ঠান করা যাবে বলে আগেই জানানো হয়েছিল। আর এই মেলা, প্রদর্শনী এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য একজন নোডাল অফিসারও নিয়োগ করেছে রাজ্য সরকার। পর্যটন উন্নয়ন নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর কিংশুক ভট্টাচার্য এই দায়িত্ব পেয়েছেন। পাশাপাশি মুখ্যসচিব সমস্ত জেলাশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন, সমস্ত মেলা-উৎসবের জন্য তথ্য সমৃদ্ধ তালিকা তৈরি করতে। এবং জেলাগুলির সংশ্লীষ্ট দফতর এবং মেলা কমিটিকে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সমস্ত মেলা বা উৎসবের তালিকা ও তথ্য নোডাল অফিসারের কাছে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

উল্লেখ্য, এই শীতের মরশুমে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় সরকারি উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় বিভিন্ন ধরনের মেলা ও উৎসব। যেখানে সংশ্লীষ্ট দফতরের নানান কাজ ও সরকারি প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা তুলে ধরা হয়। এই ধরণের উৎসব ও মেলায় লোকশিল্পী সহ স্থানীয় শিল্পী ও কলাকুশলীরা কাজের সুযোগ পেয়ে থাকেন। পাশাপাশি এই ধরণের অনুষ্ঠানে রাজ্যের নানা ধরনের ক্ষুদ্রশিল্প, লোকশিল্প, হস্তশিল্প, খাদ্য বিপণন, ডেকরেটিং প্রভৃতির সঙ্গে যুক্ত মানুষের আয়ের পথও খুলে যায়।


  এবার করোনা আবহে সেই সুযোগ আদৌ পাওয়া যাবে কিনা সেটা নিয়েই চিন্তায় ছিলেন শিল্পী ও কলাকুশলীরা। তবে রাজ্য সরকার মেলা-উৎসবের পথ খুলে দিয়ে কর্ম সংস্থান সুনিশ্চিন্ত করতে চাইছে। ফলে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন রাজ্যবাসী।

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post