নেই আড়ম্বর, চন্দননগরে জগধাত্রী পুজোয় এবার অন্য উৎসব

বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। যদিও চলতি বছরে সব পার্বণেই কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনা ভাইরাস। অক্টোবর - নভেম্বর মাস মানেই বাঙালির উৎসবের মাস। এই উৎসবেই করোনা রুপ নিয়েছে করোনাসুরের। তাই দুর্গা-কালীপুজোর মতো চন্দননগরের জগৎ বিখ্যাত জগধাত্রী পুজোও হচ্ছে অনাড়ম্বর, জৌলুসহীন। নেই আলোর ঝকমারি, নেই দর্শনার্থীদের ঢল। উল্লেখ্য, এ বছর কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ এবং সরকারি নিয়ম মেনেই হয়েছে দুর্গা ও কালীপুজো। জগধাত্রী পুজোতেও রয়েছে একই বিধিনিষেধ। তাই চন্দননগর, ভদ্রেশ্বর, মানকুন্ডু সরকারি নির্দেশ মেনেই চলছে জগধাত্রী পুজো। 


 রবিবার অষ্টমী, জগধাত্রী পুজোর মূল পুজো হয় নবমীর দিন। কিন্তু চন্দননগরের বেশ কয়েকটি বড় পুজো চারদিন ধরেই হয়। অন্যান্য বছর যেমন এই চারদিনই থাকে উৎসব মুখর। কিন্তু করোনা আবহে এবার সেই দৃশ্য একেবারেই উধাও। যদিও গুটিকয়েক দর্শক আসছেন মণ্ডপ ও প্রতিমা দর্শনে, তাঁদের সকলের মুখে মাস্ক। তবে সমস্ত মণ্ডপেই রয়েছে নো-এন্ট্রি বোর্ড। যারা পুজোর সঙ্গে যুক্ত শুধুমাত্র তারাই মন্ডপে যাওয়ার প্রবেশাধিকার পাচ্ছেন।  উদ্যোক্তাদের মতে, এই নিয়ম পুজোর সব দিনই বলবৎ থাকবে। 

 


অনেকে এও বলছেন, এই দিন গুলিতে যত কম মানুষ আসবেন ততই ভালো। তবুও মন খারাপ চন্দননগরবাসীর। এখানকার জগধাত্রী পুজো মানেই মণ্ডপে মণ্ডপে থিমের প্রাচুর্য এবং আলোর রোশনাইয়ের জন্য বিখ্যাত। চন্দননগরের আলো জগৎ বিখ্যাত। রীতিমতো আলোর মালায় সাজে চন্দননগর। রাত যত বাড়ে ততই ভিড় বাড়তে থাকে এখানে। কিন্তু এবার সেই ছবি নেই। ট্রেন, বাস, লঞ্চ সব চালু থাকলেও এবার যেন এক অচেনা উৎসব চন্দননগর, মানকুন্ডু, ভদ্রেশ্বর শহরে। নিয়ম মেনে নমোনমো করে পুজোটা ভালোভাবে কেটে যাওয়ার অপেক্ষা সকলের। আসছে বছর আবার হবে।

Post a Comment

Thank You for your important feedback

أحدث أقدم