ভোটের মুখে কর্মসংস্থানে জোর, নিয়োগ সাড়ে ১৬ হাজার শিক্ষক

গতকালই বিহার নির্বাচনের ফল সামনে এসেছে। এনডিএ জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে। সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ দিক হল বিহারে বিজেপির আসন বৃদ্ধি। এবার বিধানসভা নির্বাচন এই রাজ্যে। তাই চাপের মুখে কর্মসংস্থানে জোর দিল তৃণমূল সরকার। বুধবারই নবান্ন সভাঘরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই রাজ্যে সাড়ে ১৬ হাজার টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগ করা হবে। শূন্যপদে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে নিয়োগ করবে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। নিয়োগ হবে অফলাইনে। 



তিনি আরও জানিয়েছেন, প্রায় ২০ হাজার টেট উত্তীর্ণ রয়েছেন। প্রাথমিকভাবে ১৬,৫০০ জন চাকরিপ্রার্থীকে প্রথম ধাপে নিয়োগ করা হবে। পরের দফায় বাকিদের। ডিসেম্বর মাস থেকেই শুরু হবে নিয়োগ প্রক্রিয়া। শেষ হবে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘বর্তমান কোভিড পরিস্থিতির উন্নতি হলে শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ শুরু হবে। ১৬ হাজার পদে নিয়োগ করা হবে টেট উত্তীর্ণদের। যাবতীয় নিয়মকানুন স্থির করে পরে জানাবে শিক্ষাদফতর’। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, টেটের জন্য নতুন করে আড়াই লাখ আবেদনপত্র জমা পড়েছে। এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে এই আবেদনকারীদের জন্য অফলাইনে পরীক্ষার ব্যবস্থা করবে শিক্ষা দফতর। 



শিক্ষক নিয়োগের পাশাপাশি রাজ্য পুলিশের জন্যও একটি বড় খবর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মন্ত্রীসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, রাজ্যে নতুন করে আরও তিনটি পুলিশ ব্যাটেলিয়ান তৈরি করা হবে। এই তিনটি ব্যাটেলিয়ানও হবে গুরুত্বপূর্ণ এলাকায়। একটি জঙ্গলমহলে এবং অন্য দুটি পাহাড় ও কোচবিহারে। জঙ্গলমহল এবং পাহাড়ের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই সেখানে দুটি পুলিশ ব্যটেলিয়নের কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়া কোচবিহারে নতুন পুলিশ ব্যাটেলিয়ন ‘নারায়ণী সেনা’ তৈরির কথাও বলেন তিনি। এই তিন ব্যাটেলিয়নের জন্য অত্যন্ত ৩,০০০ পুলিশকর্মী নিয়োগ করা হবে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে কীভাবে, কবে থেকে নিয়োগ হবে, কারা সুযোগ পাবেন, সেসব রূপরেখা স্থির করার দায়িত্ব তিনি রাজ্য পুলিশের শীর্ষকর্তাদের উপরই ছেড়েছেন। 


রাজ্যের বিরোধী শিবিরের বক্তব্য, কর্মসংস্থানের এই জোড়া সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রী আসন্ন বিধানসভা ভোটের কথা মাথায় রেখেই নিয়েছেন। বিজেপির দাবি, টেট উত্তীর্ণরা বিগত কয়েক বছর ধরেই চাকরির দাবিতে অনশন-আন্দোলন করে আসছেন। কিন্তু যেই বিধানসভা ভোট সামনে এল তখনই তাঁদের নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল সরকার। এটা পরিকল্পিত রাজনৈতিক চাল বলেই কটাক্ষ বিরোধী শিবিরের।



Post a Comment

Thank You for your important feedback

أحدث أقدم