ফুল পুজোর ঠাকুরঘর থেকে পুজোমণ্ডপ, অন্নপ্রাশন থেকে বিয়েবাড়ি সব জায়গাতেই প্রয়োজন। আবার অনেকে সখে ফুল চারা বাড়িতে লাগান। সেই ফুল চাষে কাঁটা হয়েছে করোনা, শীতকালীন ফুলের বীজ উৎপাদন না হওয়ায়। পাশাপাশি দীর্ঘদিন ট্রেন বন্ধ থাকার ফলে বাইরে থেকে আমদানি হয়নি ফুলের বীজ। তাতেই বিপাকে পড়েছেন ফুল চাষিরা। রাঢ়বঙ্গের বহু মানুষই ফুলের চাষ করে জীবিকা নির্ভর করেন।
করোনা আবহে ব্যাপক সমস্যার মধ্যে পড়েছেন ফুলচাষিরা। ফুল চাষ করেন বর্ধমানের পূর্বস্থলীর মানুষ। পূর্বস্থলীর কাষ্ঠশালী, পলাশপুলি সহ একাধিক অঞ্চলের পাশাপাশি পারুলিয়া সহ রয়েছে একাধিক এলাকা। এই ফুল চাষই হল তাঁদের অর্থ উপার্জনের পথ। বিঘের পর বিঘে জমিতে শুধুই ফুল চাষ করেন চাষিরা। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়িয়ে ভিনরাজ্যে পাড়ি দেয় পূর্বস্থলীর ফুলের চারা। কিন্তু করোনা আবহে ছবিটা এ বছর একটু অন্যরকম। ফুলের চারা কিনতে চাইছেন না অনেকেই করোনা প্রভাবে। তাই ব্যাপক সমস্যার মধ্যে পড়েছেন ফুলচাষিরা। করোনা প্রভাবে লকডাউনেও মধ্যবিত্ত মানুষের পকেটে টান। তাই ইচ্ছা থাকলেও কিনতে পারছেন না ফুলের গাছ। দীর্ঘদিন ট্রেন বন্ধ ছিল, তাই বাইরে থেকে আমদানি হয়নি ফুলের বীজ। দামও বৃদ্ধি পেয়েছে ফুলের চারার। দিনে আগে ২৫০-৩০০ চারা বিক্রি হত, এখন ১০০-১৫০ টা হচ্ছে। এই ফুলের চারা কলকাতা, মালদহ, নৈহাটি, চন্দননগরে যায়। ট্রেন চালু হওয়ায় কিছুটা লাভের মুখ দেখতে পাবেন বলে আশা ফুলচাষিদের। কিন্তু এবছর করোনার জেরে ব্যবসায় অনেকটাই ক্ষতির মুখে তাঁরা। তাই সরকার যদি একটু পাশে দাঁড়ায় এমনই চাইছেন ওই এলাকার চাষিরা
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback