দিঘার সমুদ্র সৈকতে এবার থ্রি-ডি প্রোজেকশন ম্যাপিং লাইটিং সিস্টেম


এবার করোনা আবহে শীতের মরশুমে ভ্রমণপ্রিয় বাঙালি ভিনরাজ্যে পাড়ি দিতে পারছেন না। ফলে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতে বেশিরভাগ মানুষই দীঘা বা মন্দারমনি যাওয়ার প্ল্যান করছেন। কেউ কেউ ঘুরেও এসেছেন এরমধ্যে। কিন্তু সামনেই আসছে বর্ষবরণের দিন। ফলে এই বিশে-বিষ বছরকে বিদায় জানাতে অনেকেই হাঁসফাঁস করছেন। আর এই বর্ষবরণকে স্মরণীয় করে রাখতে যারা বাংলার সৈকত শহর দিঘা যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন তাঁদের জন্য সুখবর দিলেন রাজ্যের পর্যটন কর্তারা। 


 

 

দিঘার সমুদ্র সৈকতে বসছে থ্রি-ডি প্রোজেকশন ম্যাপিং (3D Projection Mapping) লাইটিং সিস্টেম। এই প্রযুক্তির সাহায্যে সৈকতে আলো ও সঙ্গীতের মুর্ছনায় এক মায়াবী পরিবেশ তৈরি হবে। যা পর্যটকরা তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করতে পারবেন। সম্পূর্ণ নিখরচায় এই সৌন্দর্য উপভোগ করা যাবে। পাশাপাশি দিঘার সমুদ্রপারের রাস্তায় বসছে মিউজিকাল ফাউন্টেন, আধুনিক সাউন্ড সিস্টেম এবং মাল্টিমিডিয়া শো। সব মিলিয়ে এই প্রকল্পের খরচ আনুমানিক ৯ কোটি টাকা। 



বিশ্বের বহু নামী পর্যটন কেন্দ্রে দর্শকদের মনোরঞ্জনের কথা মাথায় রেখে থ্রি-ডি প্রোজেকশন ম্যাপিং লাইটিং সিস্টেম রয়েছে। যেমন প্যারিসের আইফেল টাওয়ার, দিল্লির ইন্ডিয়া গেট, বা গুজরাটে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের বিশাল মূর্তি। দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান অখিল গিরি জানিয়েছেন, দিঘাকে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তুলতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। সেই জন্য আমরা ইতিমধ্যেই টেন্ডার ডেকেছি। খুব শীঘ্রই কাজ শুরু হবে। 

 

 


আনলক পর্যায়ে দিঘায় পর্যটকদের প্রবেশের অনুমতি দিয়েছিল রাজ্য প্রশাসন। এরপর থেকে কমবেশি পর্যটক সমাগম হচ্ছে দিঘা, শঙ্করপুর, উদয়পুর ও মন্দারমনিতে। ফলে আশায় বুক বাঁধছেন হোটেল ও পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ী ও মানুষজন। এবার আন্তর্জাতিক মানের থ্রি-ডি প্রোজেকশন ম্যাপিং (3D Projection Mapping) লাইটিং সিস্টেম চালু হলে দিঘার জনপ্রিয়তা আরও বহুগুণ বাড়বে বলেই মনে করছেন এলাকাবাসীরা।  


Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post