শুভেন্দুর বাড়ি সটান হাজির পিকে, মানভঞ্জন হবে কি?

অবশেষে শুভেন্দু অধিকারীর মানভঞ্জনে উদ্যোগী তৃণমূল কংগ্রেস। বিগত কয়েকদিন ধরেই বেসুরো পূর্ব মেদিনীপুরের এই দাপুটে নেতা তথা রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী। দলীয় পতাকা এবং প্রতীক ছাড়াই একের পর এক জনসভা করে বিস্ফোরক সব মন্তব্য করে চলেছেন তিনি। শাসকদলের শীর্ষ নেতৃত্বও জল মাপছিলেন। এবার তাঁরা উদ্যোগী হলেন কার্যত বিদ্রোহী এই নেতার মানভঞ্জনে। 

 

বৃহস্পতিবার রাতেই তাঁর কাঁথির বাড়িতে পৌঁছে গেলেন শসকদলের ভোটকৌশলী প্রশান্ত কিশোর বা পিকে। যদিও সেসময় বাড়িতে ছিলেন না শুভেন্দু। ফলে তাঁর বাবা তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারীর সঙ্গেই কথা বলে কলকাতা ফেরেন পিকে। তবে সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, শিশিরের সামনেই ফোনে কথা হয়েছে শুভেন্দুর সঙ্গে। যদিও এই বিষয়ে অধিকারী পরিবারের সকলেই মুখে কুলুপ এঁটেছেন। 


 


বিগত একমাসের ওপর তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সম্পাদক তথা রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী দল ও সরকারি অনুষ্ঠানে গড়হাজির থাকছিলেন। শেষ কয়েকদিনে তিনি প্রকাশ্যে এসে বেশ কয়েকটি সভা ও কর্মসূচি পালন করেন। কিন্তু সবগুলোই ছিল দলীয় পতাকা সরিয়ে রেখে। তাঁর বক্তব্যেও ছিল শাসকদলের প্রতি ক্ষোভ ও বঞ্চনার বহিঃপ্রকাশ। ফলে রাজ্য রাজনীতিতে জল্পনা তীব্র হতে থাকে তবে কী দল ছাড়ছেন শুভেন্দু? তিনি বিজেপিতে যোগ দিতে পারে বলেও জল্পনা ছড়ায়। যদিও শুভেন্দু নিজে এই বিষয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য করেননি। তবে আকারে ইঙ্গিতে তিনি বুঝেয়েছন আগামীদিনে বড় কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। 


তাঁর একেকটি সভা ও কর্মসূচিতেও জনসমাগম বুঝিয়ে দিয়েছে তাঁর জনপ্রিয়তা। এমনকি তাঁর অনুগামীরাও পিছিয়ে ছিলেন না। তাঁরা ‘আমরা দাদার অনুগামী’ পোস্টার ও ব্যানারে ছয়লাপ করে যাচ্ছেন পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদ, হাওড়া, হুগলি সহ উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বিভিন্ন অংশে। ফলে এখানেই সিঁদুরে মেঘ দেখতে পাচ্ছিল তৃণমূল নেতৃত্ব। ফলে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ আচমকা কাঁথি শহরের হাতাবাড়ি এলাকায় শুভেন্দুর বাড়িতে সটান হাজির হন ভোটকৌশলী প্রশান্ত। 

 

দীর্ঘক্ষণ তিনি কথা বলেন শুভেন্দুর বাবা শিশির অধিকারীর সঙ্গে। তিনি আবার পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা তৃণমূল সভাপতি। তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ শিশিরবাবু তৃণমূলের কর্মসূচিতে থাকলেও তাঁর দুই ছেলেই কার্যত বিদ্রোহী। শুভেন্দু নিজের কর্মসূচিতে জেলার বাইরে থাকলেও পিকে কথা বলেন শিশিরবাবুর সঙ্গেই। এমনকি সেখান থেকেই টেলিফোন করে শুভেন্দুকে। কথাও হয়েছে দুজনের মধ্যে। এখন দেখার বরফ কতটা গলে এই উদ্যোগের পর।

Post a Comment

Thank You for your important feedback

أحدث أقدم