ডিসেম্বর মাস থেকে রাজ্যের স্কুল, কলেজ খুলবে, এমনটাই আশা জেলার স্কুলগুলির। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে স্কুল খোলার ব্যাপারে কতটা প্রস্তুত স্কুলগুলি? পুরুলিয়ার বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক, ছাত্র ও অভিভাবকরা স্কুল খোলার সিদ্ধান্তকে মেনে নিলেও করোনা আবহে পড়ুয়াদের জন্য তা কতটা নিরাপদ হবে জানিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। দীর্ঘদিন ধরে স্কুল বন্ধ। পুরুলিয়ার মতো প্রান্তিক জেলার অনেক পড়ুয়া অ্যান্ড্রয়েড ফোন না পাওয়ায় 'অনলাইন' পড়াশুনা থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
অভিভাবক ও শিক্ষকদের আশঙ্কা, স্কুল খুললে সংক্রমণ বেড়ে যাবে। এই পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের স্বার্থে পঠনপাঠন স্বাভাবিক রাখতে স্কুল খুলে কোভিড নিয়ন্ত্রণে রাখাটাই সরকারের কাছে এখন চ্যালেঞ্জের বিষয়।
সরকারিভাবে এখনও কোনও নির্দেশিকা না এলেও প্রস্তুতি চলছে জলপাইগুড়িতে। জলপাইগুড়ির করোনা পরিস্থিতি এখনো উদ্বেগজনক। তাই অভিভাবকরা সম্পূর্ণ দুশ্চিন্তামূক্ত হতে পারছেন না। স্কুল, কলেজ খুললে সেখানে কঠোর সুরক্ষাবিধি রাখার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
অপেক্ষায় পূর্ব মেদিনীপুরের স্কুল-কলেজের শিক্ষক থেকে অধ্যপক ও ছাত্রছাত্রী, অভিভাবকরা। এই কয়েকমাস ধরে অনলাইন ক্লাস বা টিউশন চললেও স্কুলের থেকে পাওয়া শিক্ষা বন্ধ ছাত্রছাত্রীদের। সেক্ষেত্রে নতুন শিক্ষাবর্ষ বা কলেজের সেমিস্টার এর প্রাক্কালে ক্লাস চালু হওয়া জরুরি বলে মনে করছে সব মহল। বিশেষ করে প্রাইমারি স্কুলে গুলিতে শিশুদের জন্য ক্লাস চালু হওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন শিক্ষকরা।
Post a Comment
Thank You for your important feedback