ব্রিটিশ চলে যাওয়ার পরেও বহু ব্যাঙ্ক বেসরকারি সংস্থার হাতে ছিল এবং বহু ব্যাঙ্ক দেনার টাকা উদ্ধার করতে না পেরে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছিল। ইন্দিরা গান্ধি বিষয়টি বুঝেই সমস্ত ব্যাঙ্ক জাতীয়করণ করেন যাতে দায় ও দায়িত্ব থাকে সরকারের তথা অর্থমন্ত্রীর হাতে এবং আইনি ব্যবস্থা নিয়ে টাকার লেনদেন করা যায়। এর বহু পরে বেশ কিছু বেসরকারি ব্যাঙ্ক খোলা হয় যারা তাদের সম্পত্তি, সম্পদ এবং বিমার হিসাব পরিষ্কার দিতে পেরেছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে কিন্তু কর্পোরেট হাউসের হাতে ব্যাঙ্ক গেলে কী হতে পারে? এমনটিই সম্প্রতি সুপারিশ করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বিশেষ অভ্যন্তরীন কমিটি।
এর বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিবাদ করেছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন। তাঁর বক্তব্য, কর্পোরেট হাউসের হাতে ব্যাঙ্ক গেলে অর্থনীতি থেকে আমজনতার আমানত তছনছ হয়ে যাবে। তাঁর যুক্তি, এই ঘোষণা হলে এমন কিছু সংস্থা ব্যাঙ্ক ব্যবসায়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে এবং এদের বহু সমস্যা, এরা রাজনৈতিক চাপে থাকে। এছাড়া নিজেদের বহু শিল্প বা বাণিজ্য আছে এবং এরাও ব্যাঙ্ক থেকে কোটি কোটি টাকা ধার নেয়। এদের ব্যবসা সঙ্কটে পড়লে স্বাভাবিকভাবে চাপ হবে এই ব্যাঙ্কগুলির। মনে রাখতে হবে ব্যাঙ্কে টাকা সাধারণ মানুষ থেকে ছোট বড় ব্যবসায়ীরাও রাখেন। অর্থ সঙ্কটে পড়ে ব্যাঙ্ক যদি দেউলিয়া হয়ে যায় তবে সাধারণের কী হবে ? উদাহরণ নীরব মোদি থেকে বিজয় মাল্য। এর দায় নেবে কে?
Post a Comment
Thank You for your important feedback