সোমবার থেকে শিয়ালদা ডিভিশনের বিভিন্ন শাখায় বাড়ছে ট্রেনের সংখ্যা। এবার থেকে এই শাখায় ৬১৩টি ট্রেন চালাবে পূর্ব রেল। অপরদিকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্যাসেঞ্জার ট্রেন চালু করার জন্য রেলকে চিঠি দিল রাজ্য সরকার। কলকাতা ও হাওড়া ডিভিশনে লোকাল ট্রেন চালু হয়েছিল সীমিত সংখ্যায়। এরপর ভিড়ের কথা মাথায় রেখে ট্রেনের সংখ্যা কিছুটা বাড়িয়েছিল রেল কর্তৃপক্ষ। মূলত অফিস টাইমে ১০০ শতাংশ ট্রেন চালানো হচ্ছিল। বাকি সময়ে ট্রেনের সংখ্যা কম ছিল। এবার এই সময়ও বাড়তি ট্রেন পাওয়া যাবে। রেল জানিয়েছে, শিয়ালদা থেকে বিভিন্ন শাখায় দৈনিক ৬১৩টি ট্রেন চলবে সোমবার সপ্তাহের প্রথম দিন থেকেই। ফলে দূরত্ববিধি মেনে ট্রেনে চাপতে পারবেন যাত্রীরা। এই খবরে খুশি নিত্যযাত্রীরা।
অপরদিকে রাজ্যের অন্যান্য অংশেও লোকাল এবং প্যাসেঞ্জার ট্রেন চালুর ক্ষেত্রে সবুজ সঙ্কেত দিল রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর, নবান্ন থেকে এই সংক্রান্ত চিঠি রেলের কাছে পৌঁছে গিয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, কলকাতা ও হাওড়ার শহরতলির মতো রাজ্যের অন্যান্য অংশেও প্যাসেঞ্জার ট্রেন চালানোর জন্য রেলকে সমস্ত সহায়তা দেবে রাজ্য সরকার। জানা যাচ্ছে শীঘ্রই এই সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করতে রেল-রাজ্য বৈঠকে বসবে। সোমবার বাঁকুড়ায় মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক রয়েছে। সেখানে প্রশাসনের শীর্ষকর্তারা থাকবেন। ফলে সোমবার ওই বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এরপরই হতে পারে বৈঠক।
রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তে প্যাসেঞ্জার ও ফাস্ট প্যাসেঞ্জারের মতো ট্রেন, ডিএমইউ ট্রেনের ওপর নির্ভরশীল বহু মানুষ। জেলা গুলির সঙ্গে কলকাতার যোগাযোগের সস্তা ও দ্রুততর মাধ্যম ছিল এই ট্রেনগুলি। কিন্তু সেগুলি বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়েছিলেন ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে চিকিৎসার প্রয়োজনে ঘন ঘন কলকাতায় আসা মানুষজন। এছাড়া স্বল্প দূরত্বের বিভিন্ন ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসও বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরতলির বাইরের অংশে এই রুটগুলিতে সম্মিলিত ভাবে যাত্রী সংখ্যা প্রচুর। তাই কোথায় কত ট্রেন চলবে, কোন কোন ট্রেন চলবে সেটা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা দরকার। আবার ট্রেন পরিষেবার পরিধি বাড়লে ভিড় নিয়ন্ত্রণ, আইনশৃঙ্খলা-সহ একাধিক বিষয়ে রাজ্যের সাহায্য দরকার। বৈঠকের পরই এই সংক্রান্ত রূপরেখা ঠিক হবে বলে মনে করছে সংশ্লীষ্ট মহল।
উল্লেখ্য, শিয়ালদা-লালগোলা, বহরমপুর, কাটোয়া, বর্ধমান, রামপুরহাট, নলহাটি, আজিমগঞ্জ, বাঁকুড়া, আসানসোল, আদ্রা, পুরুলিয়ার মতো এলাকায় প্যাসেঞ্জার ট্রেনগুলি পুনরায় চালু করার জন্য চাপ বাড়ছে দিন দিন। অনেক জায়গায় স্মারকলিপি জমা দেওয়ার পাশাপাশি আন্দোলনও সংগঠিত হয়েছে। ফলে নড়েচড়ে বসেছে নবান্ন। জেলা স্তরে এবার ট্রেন চালু হোক এই চিঠি পৌঁছে গিয়েছে রেল মন্ত্রকে। এবার বৈঠকের অপেক্ষা, তারপরই জানা যাবে কবে থেকে চালু হবে এই সমস্ত শাখায় প্যাসেঞ্জার ট্রেন পরিষেবা।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback