লোকালের পর চালু হোক প্যাসেঞ্জার ট্রেন, রেলকে চিঠি সৌমিত্র খাঁয়ের

শিয়ালদা, হাওড়া ও খড়গপুর ডিভিশনে লোকাল ট্রেন চালু হয়েছে গত বুধবার। কিন্তু রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তে এখনও বন্ধ প্যাসেঞ্জার ট্রেনের চাকা। ফলে রাজ্যের এই প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাধারণ মানুষের সঙ্গে বড় শহরের যোগাযোগ কার্যত আজও বন্ধ। এবার লোকাল ট্রেনের পর বিভিন্ন রুটে প্যাসেঞ্জার ট্রেন চালু করার দাবি জানিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজারকে চিঠি দিলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। করোনা আবহে দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ রয়েছে আসানসোল-আদ্রা, বরাভূম-আদ্রা, পুরুলিয়া-আদ্রা-বাঁকুড়া-হাওড়া, বিষ্ণুপুর-ময়নাপুর, বাঁকুড়া-মশাগ্রাম রুটের প্যাসেঞ্জার ট্রেন পরিষেবা।

 

 বিজেপি সাংসদ এই সমস্ত রুটেও ট্রেন চালুর দাবি জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজারকে। পরিবহণ এবং পর্যটন ও সংস্কৃতির সংসদীয় কমিটির সদস্য সৌমিত্র খাঁ চিঠিতে লিখেছেন, এই সমস্ত এলাকার বেশিরভাগ মানুষই ট্রেনের ওপর নির্ভরশীল। তাই অবিলম্বে এই সমস্ত রুটের প্যাসেঞ্জার ট্রেন পরিষেবা শুরু করা হোক। অপরদিকে বীরভূমের নলহাটিতেও এদিন প্যাসেঞ্জার ট্রেন চালুর দাবিতে শুক্রবার সকালে বিক্ষোভ দেখানো হয়। স্থানীয় মানুষজন এবং ব্যবসায়ী সমিতির তরফে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে ট্রেন চালুর দাবিতে একটি স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়েছে পূর্ব রেলের বিভাগীয় আধিকারিককে।


 

 

 তাঁদের দাবি, বর্ধমান-খানা-সাহেবগঞ্জ লুপ লাইনে করোনা কালের আগে যে সমস্ত প্যাসেঞ্জার ট্রেন চলতো সেগুলি অবিলম্বে চালু করা হোক। পাশাপাশি তাঁদের দাবি ছিল নলহাটি স্টেশনে আপ ও ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ট্রেনের স্টপেজ দিতে হবে। নলহাটির মানুষদের দাবি, বর্ধমান-খানা-সাহেবগঞ্জ লুপ লাইনে সারাদিন কয়েকটি প্যাসেঞ্জার ট্রেন চলত। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি স্থানীয় বিস্তীর্ণ অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা এই ট্রেনগুলির ওপরই নির্ভরশীল ছিলেন।


Post a Comment

Thank You for your important feedback

أحدث أقدم