বিহারে বেশ ভালো ফল করেছে বামদলগুলি। নকশাল, সিপিএম, সিপিআই লড়াই করে নিজেদের প্রমাণ করেছে। পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, কেরল ছাড়া গত পঁচিশ বছরে এমন ফল বামেরা দেখতে পারেনি। কারণ তারা বাংলা ও ঝাড়খণ্ড লাগোয়া বিহারে দীর্ঘদিন মানুষের পাশে আছে। সিপিআই (এমএল) সেখানে ভীষণভাবে সক্রিয়। বিহারে বামদলে আজও ৭০ দশকের বহু নকশালপন্থীরা কাজ করছেন। তাঁদেরই এক প্রতিনিধি আশিস সেনগুপ্ত জানালেন, সংসদীয় রাজনীতিতে ভোটে যেতেই হয় নতুবা মানুষের মনের অবস্থান বোঝা যায় না।
কিন্তু বিহার দিয়ে বাংলার জল গরম হবে কি? রাজনৈতিক বিষেজ্ঞদের মতে, এটা খুবই কঠিন, কারণ প্রথমত তরুণ ও নির্ভরযোগ্য নেতার অভাব। পুরাতন পক্ককেশ নেতা-নেত্রীদের দিয়ে সংগঠন আর সম্ভব নয়, সেটা ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনই তার প্রমাণ। দ্বিতীয়ত, অনিল বিশ্বাসের ' অনিলায়নে' ৯০ এর মধ্যেভাগ থেকে আর্থিক প্রাচুর্য যুব সমাজকে আরামপ্রিয় করে দিয়েছিল। তৃতীয়ত, বেশিরভাগ নেতার মার্ক্সীয় শিক্ষাই নেই। আজ আন্দোলন করার থেকে ক্ষমতা উপভোগ করাই এদের উদ্দেশ্য। অপরদিকে সক্রিয় বাম নেতাদের অনেকেই হয় তৃণমূলে নাহলে বেশিরভাগই বিজেপিতে চলে গিয়েছেন। একুশের বিধানসভা ভোটের আগে তাঁদের ফেরানোর মন্ত্র বিমানবাবুদের আছে কি? উত্তর মিলবে আগামী বছরের মাঝামাঝি।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback